রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা বিকৃতির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে জেলা প্রশাসনের কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর কাছে মঙ্গলবার রাতে প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করা হয়। তবে এতে ঘটনার জন্য কাউকে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযুক্ত করা হয়নি।
রংপুর জেলা প্রশাসক হাসিব আহসান নিউজবাংলাকে জানান, জাতীয় পতাকা বিকৃতির ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন।
‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদনটি উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। তবে তদন্ত প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট করে কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি।’
প্রতিবেদনে কেন অভিযুক্তদের নাম নেই- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মো. মুস্তাফা কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি ও জেলা প্রশাসনের কমিটির দুটি প্রতিবেদন নিয়ে সিন্ডিকেট সভা হবে। সেখানে আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
ঘটনার সাতদিন পর মঙ্গলবার ঢাকায় অবস্থিত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয়ে বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে গঠিত ওই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন প্রক্টর আতিউর রহমান ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য সুচিত্রা শারমিন।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকতা একটি বিকৃত জাতীয় পতাকা নিয়ে ছবি তোলেন। ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।
এ ঘটনায় ১৭ ডিসেম্বর তাজহাট থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমানসহ নয় জন শিক্ষক ও উপাচার্যের একান্ত সহকারী (পিএস) আমিনুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।