বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেতাগীতে হামলা: ধরাছোঁয়ার বাইরে ‘হোতারা’

  •    
  • ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ১৭:৩৪

এই মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। তবে মামলার মূল আসামি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ শরীফ ও তার তিন ছেলে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। পুলিশ বলছে, তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালছে।

বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইমাম হাসান শিপনের ওপর হামলার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত কাউকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে বুধবার রাতে সরিষামুড়ি ইউনিয়ন থেকে খলিলুর রহমান নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এই মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। তবে মামলার মূল আসামি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ শরীফ ও তার তিন ছেলে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। পুলিশ বলছে, তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালছে।

আরও পড়ুন: চাক্ষুষদের বর্ণনায় বেতাগী হামলা

হামলার ঘটনার তিন দিন পর গত সোমবার রাত ১০টার দিকে বেতাগী থানায় ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরিফকে প্রধান আসামি এবং তার তিন ছেলে জাফর শরীফ, আজীম শরীফ, হাসিব শরীফসহ ১৪ জনের নামে মামলা হয়।

মামলায় পাঁচ থেকে ছয় জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়। আহত চেয়ারম্যানের শ্বশুর রফিকুল ইসলাম মন্টু বাদী হয়ে এই মামলা করেন।

আহত শিপন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীরের বড় বোনের ছেলে। জাহাঙ্গীর কবীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ভাগ্নের ওপর ইউসুফ শরীফ ও তার ছেলেরা পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। গত সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরোধীতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নেয় ইউসুফ শরীফ। এ কারণে গত ইউপি নির্বাচনে ইউসুফ দলীয় মনোয়ন পায়নি। সেই ক্ষোভ থেকে শিপনের ওপর হামলার পরিকল্পনা করে সে।

জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, ‘এক সময়ের কুখ্যাত ডাকাত সর্দার ইউসুফ ওই জনপদকে গুম খুন আর অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। শিপন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে একদিকে যেমন পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়ন করেছেন তেমনি শান্তির জনপদে পরিণত করেছেন। এটা ওর (ইউসুফের) সহ্য হচ্ছিল না। আমি ইউসুফদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করছি।’

রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিপনের সঙ্গে থাকা স্ত্রী মঞ্জুমান আরা রিক্তা বলেন, ‘আমার স্বামীর ওপর বর্বোরোচিত হামলা হয়েছে। তিনি এখনও শংকা মুক্ত নন। তার দুটি পা এমনভাবে জখম হয়েছে যে তিনি আর স্বাভাবিক চলাচল করতে পারবেন কিনা চিকিৎসকেরা নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না। গত শুক্রবার হামলা হয়েছে অথচ এখনও ইউসুফ শরীফ বা তার ছেলেদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আমি ইউসুফ ও তার ছেলেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গতকাল রাতে আরেক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই মামলায় গ্রেফতার হলো তিন জন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে গত শুক্রবার বেতাগীর সরিষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। কেটে ফেলা হয় তার ডান পা। বাম পায়ের দুই-তৃতীয়াংশ কেটে যায়; বাম হাতের উপরিভাগে গুরুতর জখম হয়।শনিবার পঙ্গু হাসপাতালে শিপনের অস্ত্রোপচার করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর