বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন করে ওয়াশিকুর হত্যার বিচার শুরু

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২০ ১৭:৫১

গত ২৭ অক্টোবর রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালের ২০ জুলাই অভিযোগ গঠন করা বিচারক এস এম জিয়াউর রহমানের ‘গুরুতর ত্রুটি’র কথা জানিয়ে নতুন করে বিচারের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ

বিচারকের ‘ত্রুটিতে’ রায় আটকে যাওয়ার ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যার বিচার নতুন করে শুরু হয়েছে।

বুধবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলমের আদলেতে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার দ্বিতীয়বার শুরু হলো।

আসামিরা হলেন জিকরুল্লাহ ওরফে হাসান, আরিফুল ইসলাম ওরফে মুশফিক ওরফে এরফান, সাইফুল ইসলাম ওরফে মানসুর, মাওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ ওরফে তাহের ও সাইফুল ইসলাম ওরফে আকরা। তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শেষোক্ত দুই জন পলাতক।

গত ২৭ অক্টোবর মামলাটি রায় ঘোষণার তারিখ দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম। কিন্তু রায় ঘোষণার আগ মুহূর্তে রাষ্ট্রপক্ষ নতুন করে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানায়।

আবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের ২০ জুলাই এই মামলায় অভিযোগ গঠনকারী বিচারক মহানগর দায়রা জজ এস এম জিয়াউর রহমানের ‘গুরুতর ত্রুটি’ করেছেন। ফলে আসামিদের সাজা হলে সেটি ভুল হবে।

আবেদনে বলা হয়, মামলার অন্যতম আসামি সাইফুল ইসলাম হত্যার সময় অন্য একটি নাশকতা মামলায় কারাগারে ছিলেন। সুতরাং তিনি সরাসরি হত্যায় যুক্ত ছিলেন না। তিনি এ হত্যার ষড়যন্ত্রকারী ও পরামশর্ক ছিলেন।

কিন্তু অভিযোগ গঠনের সময় সাইফুলের সে ভূমিকার কথা উল্লেখ করেননি বিচারক এস এম জিয়াউর রহমান। তাকে এ ধারার ১২০ (বি) উপধারায় অভিযোগে যুক্ত করেননি।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে বলা হয়, ‘এটি মামলার বিচারে মারাত্মক ত্রুটি। আর যে কারণে সাইফুলকে সাজা দেয়া হবে ত্রুটিযুক্ত।’

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন হাওলাদারের আবেদনটি গ্রহণ করে বিচারক আবার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ঠিক করেন।

২০১৫ সালের ৩০ মার্চ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ীর বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার পথে খুন হন ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু।

স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম নামে দুই মাদরাসাছাত্রকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

 

ফেসবুক ও ব্লগসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় উগ্রবাদ নিয়ে লেখালেখি করায় বাবুকে হত্যা করা হয়েছে বলে জিকরুল্লাহ ও আরিফুল স্বীকার করেন।

এই দুই জনসহ চার জনের নাম উল্লেখ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে ওই রাতে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মনির হোসেন।

২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পাঁচ সদস্য জিকরুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, হাসিব আব্দুল্লাহ (পলাতক) ও আবু তাহের জুনায়েদের (পলাতক) বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

২৭ বছর বয়সী ওয়াশিকুর তেজগাঁও কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে ট্র্যাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন। সামহোয়্যারইন ব্লগে ‘বোকা মানব’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থাকলেও তিনি বেশি লেখালেখি করতেন ফেইসবুকে।

ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখালেখি করায় ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিকুরের মতোই খুন হন রাজীব হায়দার। গত ৩১ ডিসেম্বর ওই মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড, একজনকে যাবজ্জীবন এবং পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে আদালত

রাজীব হত্যার পর আরও অন্তত ছয়জন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, লেখক, প্রকাশক একই কায়দায় খুন হন। এর মধ্যে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার বিচার চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর