নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলার সাড়ে ১৬ বছর পর রায় এসেছে বিচারিক আদালত থেকে। ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
আসামি মো. ইব্রাহীমকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ সামস্ উদ্দিন খালেক এ রায় দেন।
ধর্ষণ মামলার বিচারের দ্রুত নিষ্পত্তিতে সরকারের নির্দেশনার মধ্যেও মামলার দীর্ঘসূত্রতায় ক্ষোভ আছে। এর মধ্যে প্রায় দেড় যুগ পর এল এই রায়।
- আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় সাড়ে ৭ বছর পর যাবজ্জীবন
ঘটনার ১৫ বছর পর গত বছরের ১৮ আগস্ট গ্রেফতারের পর ইব্রাহীমকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে বন্দি করা হয়। এর আগে তিনি সাড়ে ছয় বছর বিদেশে কাটিয়েছেন। দেশে ফিরে এলাকায় দোকানও দেন।
আদালত চিকিৎসক ১১জনের সাক্ষ্য নিয়ে এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত ইব্রাহীম নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের শূন্যেরচর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এহাজারে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল রাতে গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন ইব্রাহীম।
১২ এপ্রিল হাতিয়া থানায় ওই নারী মামলা করেন। এতে সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয় ইব্রাহীমের বন্ধু আবদুল হাসিমকে। তবে অভিযোগের প্রমাণ না পেয়ে তাকে খালাস দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি মর্জুজা আলী পাটোয়ারী। আসামি পক্ষে ছিলেন, আব্দুর রহমান, আবু সাঈদ নোমান ও মোসলেউদ্দিন।
রাষ্ট্রপক্ষ রায়ে সন্তোষ জানালেও আসামিপক্ষের দাবি, তারা ন্যায়বিচার পাননি। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথাও জানিয়েছেন তারা।
- আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
দেশে ধর্ষণ মামলার বিচারে দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে নানা সমালোচনা আছে। সম্প্রতি সরকার ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করার পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছে, তারা সাজা বাড়ানোর পাশাপাশি এই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তিতেও জোর দিচ্ছেন। এ জন্য পিপিদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।