ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে করা মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর করা মামলায় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি নাজমুল হুদাকে দুই দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্ত কর্মকর্তা।
রোববার রাতে গ্রেফতারের পর সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরের পর দুই জনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।
কোতয়ালি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দুই জনকে সাত দিনের রিমান্ড চান তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় দুই আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেননি।
পরে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া দুদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
সংগঠনের নেতাদের আটকের প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতয়ালি থানায় এই মামলা করেন বাদী। এতে আসামি ছয় জন। দুই দিন আগে লালবাগ থানায় মামলার ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় মামলাটি করা হয়।
প্রথম মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেছেন।
ভিপি নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মীমাংসার আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেননি। পরে চুপ হয়ে যেতে বলেন। কথা না শুনলে অনলাইনে অপপ্রচার চালানোর হুমকি দেন।
পরে লালবাগ থানায় করা মামলায় তাকে সহযোগিতার কথা বলে চাঁদপুর নিয়ে যান সোহাগ। ফেরার পথে ধর্ষণ করা হয়। এর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে এতে অনলাইনে অপপ্রচারের অভিযোগও আনা হয়।
তারও পরদিন সাইবার বুলিং এর অভিযোগে শাহবাগ থানায় করা হয় আরও একটি মামলা।
নুরুল হক নুর ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর অনশন
তিন মামলার আসামি গ্রেফতারে ওই তরুণী গত বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য পাদদেশে অনশন করছেন।
দুই আসামি গ্রেফতার হলেও অনশন ভাঙেননি বাদী। তার দাবি, সব আসামিকেই গ্রেফতার করতে হবে।
চার নেতাকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করে সকালে শাহবাগে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ। তাদের অভিযোগ, যে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের বাইরে আরও দুই জনকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ। যদিও পুলিশ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।