বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য নথিপত্র উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রায়ের চার দিনের মধ্যে রোববার সকাল পৌনে ১১টায় হাইকোর্টে পাঠানো হয় এই নথি, আইনি ভাষায় যাকে ডেথ রেফারেন্স বলা হয়।
গত বুধবার বরগুনার একটি আদালত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও আরও পাঁচ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেয়। সে হিসেবে চার দিনের মধ্যে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হলো।
গত বুধবার রায়ের পর বরগুনা আদালত থেকে কারাগারে নেয়া হচ্ছে মিন্নিকে
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামির রায় কার্যকরের আগে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়।
বরগুনা আদালতের জারিকারক জাহাঙ্গীর আলম পিকু আইন-শৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় মামলার নথি লাল কাপড়ে মুড়িয়ে দুটি বান্ডিলে নিয়ে আসেন। এতে আছে পূর্ণাঙ্গ রায়, সাক্ষীদের বক্তব্যসহ মামলার যাবতীয় নথি। হাইকোর্টের আদান-প্রদান শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে এম ফারুক হোসেন তা গ্রহণ করেন।
ডেথ রেফারেন্সের পাশাপাশি বিচারিক আদালতের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করে থাকে। তখন এ মামলার পেপারবুক তৈরি হয়। পরে প্রধান বিচারপতি মামলার শুনানির জন্য যে বেঞ্চ গঠন করবেন, সেই বেঞ্চে শুনানি হবে।
যাদের ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে মিন্নি ছাড়াও আছেন রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় এবং মো. হাসান।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি।
পুরো ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তখন দেখা যায়, মিন্নি তার স্বামীকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। রিফাত শরীফের বাবার করা মামলায় মিন্নিকে প্রধান সাক্ষীও করা হয়।
পরে পুলিশ জানায়, এটি ছিল মিন্নির ‘অভিনয়’। খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি স্বামীকে খুন করিয়েছেন। তার এই দ্বৈত ভূমিকার তথ্যে মামলাটি নিয়ে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়।
খুনের কয়েক দিনের মধ্যে নয়ন বন্ড নামে পরিচিত মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারান। আরও পড়ুন: মিন্নির মামলায় চারজন খালাস যে কারণে নির্জন কক্ষে একা মিন্নি যে কারণে মিন্নির ফাঁসি আমার মিন্নির প্রতি অবিচার হয়েছে: বাবা রিফাত হত্যায় মিন্নিসহ ছয় জনের প্রাণদণ্ড