পবিত্র হজব্রত পালনের চূড়ান্ত পর্বে শনিবার আরাফাত পর্বতে পৌঁছানোর পর প্রচণ্ড উত্তাপ সহ্য করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রার্থনা করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ১৫ লক্ষাধিক মুসলমান যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্যও প্রার্থনা করেন।
ইহরাম পরিহিত হজব্রত পালনকারীরা বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই দিনের আচার পালনের জন্য শনিবার ভোরবেলায় আরাফাতে পৌঁছতে শুরু করেন। তারা ৭০ মিটার উঁচু পাথুরে পর্বতে আরোহন করেন, যেখানে নবী মুহাম্মদ (সা.) তার বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন।
মিসরের নাগরিক ৪৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ আসের বলেন, ‘এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমি ফিলিস্তিনিদের জন্যও প্রার্থনা করেছি। মহান আল্লাহ তাদের সাহায্য করুন।’
হামাস-শাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় কমপক্ষে ৩৭ হাজার ২৬৬ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক লোক।
সৌদি আরবের হজযাত্রার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ গত সপ্তাহে ‘হজের সময়ে কোনো রাজনৈতিক কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন। তবে আট মাসেরও বেশি সময় ধরে অবিরাম বোমাবর্ষণ সহ্য করা একজন হজযাত্রীকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে স্লোগান দিতে বাধা দেয়া হয়নি।
তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘ফিলিস্তিনে, গাজায় আমাদের ভাইদের জন্য প্রার্থনা করুন। আল্লাহ যেন মুসলমানদের বিজয় দান করেন।’
শনিবার হজযাত্রীদের উদ্দেশে দেয়া এক বার্তায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনের ইস্পাতকঠিন প্রতিরোধ এবং গাজার ধৈর্যশীল, নির্যাতিত জনগণকে অবশ্যই সর্বতোভাবে সমর্থন করতে হবে।’
সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সৌদি বাদশাহ সালমানের বিশেষ আমন্ত্রণে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি এবার হজব্রত পালন করছেন।