কেউ কফি ভালোবাসেন, কেউ বা আইসক্রিম। কেউ কেউ আছেন এ দুটোই ভালোবাসেন। একই সঙ্গে কফি ও আইসক্রিম যারা ভালোবাসেন, আজকের দিনটা তাদের জন্য। অন্য দিন তো বটেই, ইচ্ছে হলে আপনি সারাটা দিনই খেতে পারেন ‘কফি আইসক্রিম’। কারণ বিশ্ব ‘কফি আইসক্রিম’ দিবস উদযাপন হচ্ছে ৬ সেপ্টেম্বর।
বহু বছর ধরে এ পৃথিবীতে ভোজন রসিকদের খাবার তালিকায় রয়ে গেছে কফি ও আইসক্রিম। এভাবে দেখলেই অবশ্য খুব সহজে অনুমান করা যায়, কফির সঙ্গে আইসক্রিম মেশালে তা কত সুস্বাদু হতে পারে।
কীভাবে এলো আজকের এই দিবস, এর পেছনের ইতিহাসই বা কী- এ নিয়ে তথ্য দিয়েছে ডেইস অফ দ্য ইয়ার।
বিশ্বে কফির ইতিহাস দীর্ষ সময়ের। মধ্যপ্রাচ্যের সংস্কৃতি অংশ কফি পান। সপ্তম থেকে নবম শতাব্দির মধ্যে কফি পান এ অঞ্চলে সংস্কৃতির অংশ হয়ে ওঠে। এরপর অন্য দেশগুলোতেও মানুষ এর সঙ্গে পরিচিত হতে থাকে।
তবে ১৬০০ শতকের আগে পর্যন্ত ইউরোপের মানুষ কফির সঙ্গে পরিচিত ছিল না। ১৭ শতাব্দির মধ্যভাগে এসে ব্যাপকভাবে ইউরোপে কফির পরিচিত বাড়ে। এরপর তা তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
অটোমানদের সঙ্গ ফরাসি সম্পর্কের মাধ্যমে বিশ্বে কফি নিয়ে আসে সমাজের উঁচু শ্রেণি বিশেষ করে রাজপরিবারগুলো। এরপর কফির বিস্তার ঘটেছে সব জায়গাতে।
আইসক্রিমের মতো খাবারের উৎসের প্রথম সন্ধান মেলে সম্ভবত খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে। একজন রোমান নেতা পাহাড়ে কর্মী পাঠিয়েছিলেন বরফখণ্ড আনার জন্য। মধু, বাদাম এবং ফল যুক্ত করে তখন খাওয়া হতো আইসক্রিমের মতো খাদ্যপণ্য।
তবে আধুনিক আইসক্রিমের শুরুটা হয় ১৮ ও ১৯ শতকে। ফ্রুট আইসক্রিম তখন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যজুড়ে জনপ্রিয় হতে থাকে। ১৮৬৯ সালের দিকে জনপ্রিয় হতে থাকে ‘কফি আইসক্রিম’। কফির সঙ্গে আইসক্রিম মিশিয়ে খাওয়া শুরু করে মানুষ। এর জন্য আসতে থাকে নানা রেসিপিও।
এই খাবারটি বিশ্বজুড়েরই এখন বেশ জনপ্রিয়। এরই ধারবাহিকতায় এক পর্যায়ে শুরু হয় ‘কফি আইসক্রিম’ দিবস।