বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফ্রুটস ভ্যালিতে ৪৭ জাতের আমের চাষ

  •    
  • ১৪ মে, ২০২৩ ১৭:৫৯

চাঁদপুর সদরের শাহতলী গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে পরিত্যক্ত ইটভাটায় গড়ে তোলা হয়েছে ‘ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো’ নামে একটি খামার। উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন জানালেন, এখানে টমি অ্যাটকিনস, উতাউল্ফ, বেইলি মার্বেল, আলফনসো, গ্লেন, হেডেন, মায়া, সূর্যডিমসহ ৪৭ জাতের আমের গাছ রয়েছে।

চাঁদপুরে রাসায়নিক ও বিষমুক্ত বিদেশি নানা ফল চাষ করে নজির গড়েছেন হেলাল উদ্দিন। মাত্র তিন বছরের মাথায় চাঁদপুর সদরের শাহতলী গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে পরিত্যক্ত ইটভাটায় বালু ভরাট করে সেখানে ‘ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো’ নামে একটি খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। ইতোমধ্যে এই খামারে বিশ্বখ্যাত ৪৭ জাতের বিদেশি আম চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এই উদ্যোক্তা।

চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলী গ্রামে পরিত্যক্ত ইটভাটায় ২০২০ সালে ‘ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো’ গড়ে তোলেন হেলাল উদ্দিন। এখানে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক প্রজাতির বিদেশি উচ্চ মূল্যের ফলের আবাদ করেছেন।

শুরুর পর থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে একের পর এক বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চাষ করে সফল হয়েছেন এই উদ্যোক্তা। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন অনেকে এই প্রকল্প দেখতে আসছেন।

উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এখানে অধিকাংশ জাতই বিদেশে উচ্চ মূল্যের ফল হিসেবে খ্যাত। আর এগুলো এদেশের মাটি ও আবহাওয়ায় সম্পূর্ণ নতুন জাত। আমি কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ না নিয়েই শখের বশে প্রথমে বিদেশি রসালো ফল রকমেলন ও মাস্কমেলন চাষ করে সফল হই।

‘ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো প্রকল্পে টমি অ্যাটকিনস, উতাউল্ফ, বেইলি মার্বেল, আলফনসো, গ্লেন, হেডেন, মায়া, সূর্যডিমসহ ৪৭ জাতের আমের গাছ রয়েছে। আমের পাশাপাশি স্ট্রবেরি, চেরি টমেটো, আপেল, সিডলেস আংগুর, ত্বীন ফল, ব্ল্যাকবেরি, মাল্টা, হলুদ ড্রাগনসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির বিদেশি ফলের চাষ করা হচ্ছে এখানে।’

ফ্রুটস ভ্যালি ঘুরে দেখতে আসা শরীফ আহমেদ ও মোরশেদ খান বললেন, ‘এখানে বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ফল চাষ করেন হেলাল উদ্দিন। এসব ফলের আবাদ দেখে সত্যিই আমরা মুগ্ধ। এবার আমাদের মন কেড়েছে দুর্লভ বিভিন্ন জাতের আমের ফলন দেখে। এভাবে ফলের বাগান করার বিষয়টি আমরাও গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি।’

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি এখানে আসার পর থেকে শুনেছি হেলাল উদ্দিন বিভিন্ন ফলের চাষ করে সফল হয়েছেন। বর্তমানে কৃষক ছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকেই বিদেশি ফলের আবাদ শুরু করেছেন।

‘এ ধরনের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে অন্যান্য নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়। সে জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে উদ্যোক্তাদের পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদানসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর