নিজের বাহ্যিক বা শারীরিক সৌন্দর্যের প্রতি প্রায় সবারই রয়েছে চিরন্তন আকর্ষণ। সবাই চায় অন্যদের সামনে আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরতে। আর এই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে জিমে যাওয়া, নানা ধরনের ডায়েট মেনে চলাসহ কত কিছুই না করি আমরা। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায়, শরীরের ঊর্ধ্বাংশের প্রতি মন দিতে গিয়ে অবহেলিত হয় পা দুটি। অনেকেরই দেহের ওপরের অংশ ও হাতের পেশি সুঠাম হলেও তুলনামূলক পা দুটি সরু মনে হয়। বাহ্যিক বা শারীরিক সৌন্দর্যচর্চার উদ্দেশ্য যা-ই হোক, এই অসম দৈহিক গড়ন কখনোই কাম্য নয়। তাই সপ্তাহে কমপক্ষে এক দিন আলাদা করে মন দিয়ে পায়ের ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
স্কোয়াটস
ওয়ার্ম-আপ করে নিন ওঠবস করে। এবার স্কোয়াট, হাফ স্কোয়াট ও সুমো স্কোয়াট দিয়ে শুরু করুন। প্রথম প্রথম ওজন ছাড়াই শুরু করুন। একটু অ্যাডভান্সড লেভেলে হাতে ওজন নিয়ে স্কোয়াট করতে পারেন। পায়ের শেপ ঠিক করার পাশাপাশি গ্লুটস, ইনার থাই মাসলসের জোর বাড়ায় এই ব্যায়াম। পা ও পশ্চাদ্দেশের গঠন ও বডি-ব্যালান্স ঠিক করতে স্কোয়াটের জুড়ি নেই।
লাঞ্জেস
লোয়ার বডি পার্টের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম। কোর স্ট্রেংথ বাড়াতেও এর জুড়ি নেই। পায়ের মাসল ডেভেলপমেন্টের প্রাথমিক পর্যায়ে লাঞ্জেস শুরু করা দরকার। প্রথমে ওজন ছাড়া এবং পরবর্তীকালে হাতে ওজন নিয়ে করা দরকার। হাঁটুর জোর বাড়াতেও কাজে লাগে লাঞ্জেস।
লেগ প্রেস
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মাসল লস স্বাভাবিক। তা আরও কিছুটা দেরি করিয়ে দিতে লেগ প্রেসের মতো ব্যায়ামের জুড়ি নেই। আধা শোয়া হয়ে পা দিয়ে ওজন ঠেলে তোলা ও নামানোর এই এক্সারসাইজ পায়ের মাসল শক্ত করে।
কাফ রেইজ
কাফ মাসল তৈরির জন্য এই এক্সারসাইজ গুরুত্বপূর্ণ। হাতে ওজন নিয়েও করা যায়। একটি প্ল্যাটফর্মের ধারে দাঁড়িয়ে পায়ে ভর দিয়ে গোড়ালি ওঠাতে ও নামাতে হবে।
লেগ এক্সটেনশন এবং হ্যামস্ট্রিং কার্ল
মেশিনের সাহায্যে এই দুটি বিপরীতমুখী এক্সারসাইজ করা হয়ে থাকে। সিটে বসে লোয়ার লেগের ওপরে বা নিচে ওয়েটেড প্যাড বসিয়ে তা তুলে বা নামিয়ে এই ব্যায়াম করা হয়। আপার লেগের কোয়াড্রিসেপসের স্ট্রেংথ বাড়াতে এই ব্যায়াম কার্যকর।