চার্চের নান ও যাজকরা এলিয়েন (ভিনগ্রহের বাসিন্দা) নন। অন্য সাধারণ মানুষের মতো তারাও পর্নভিডিও দেখেন। অনলাইন পর্নগ্রাফি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় এতে আসক্তি বাড়ছে তাদেরও।
খোদ ভ্যাটিক্যান পোপ ফ্রান্সিস এমনটা স্বীকার করলেন।
সেমিনারিয়ানদের সঙ্গে কথা বলার সময় গত সোমবার পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘এটি (পর্নগ্রাফি) এমন একটি পাপ, যা অনেক মানুষের মধ্যে আছে। অনেক সাধারণ মানুষ, অনেক সাধারণ নারী, ধর্মযাজক এমনকি নানদের মধ্যেও এটা রয়েছে। শয়তান এর মাধ্যমেই প্রবেশ করে।’
পোপ বলেছেন, ‘আমি শুধু অপরাধমূলক পর্নগ্রাফি, যেমন শিশু পর্নগ্রাফির কথা বলছি না, যেগুলো অবক্ষয় হিসেবে ইতোমধ্যে স্বীকৃত; আমি সাধারণ পর্ন ভিডিও নিয়েও কথা বলছি।’
রোমান ক্যাথিলিক চার্চের প্রধান পর্নভিডিও ফোন থেকে সরিয়ে ফেলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই ধরনের ভিডিও আত্মাকে দুর্বল করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যিশু প্রতিদিনই যে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করেন, সেই আত্মা কখনও পর্নগ্রাফি ধারণ করতে পারে না।’
ক্যাথলিক চার্চের ক্যাটিসিজম (চার্চের সংবিধান) অনুসারে, পর্নগ্রাফি বানানো ও দেখার সঙ্গে জড়িতরা গুরুতর অপরাধী। গির্জার মতবাদ অনুসারে, পর্নগ্রাফি হলো সতিত্বের বিরুদ্ধে অপরাধ। এটি দাম্পত্যকে বিকৃত করে।
এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে স্বল্পবসনা ব্রাজিলিয়ান মডেল নাতালিয়া গারিবোত্তোর ছবিতে পোপ ফ্রান্সিসের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ‘লাইক’ দেয়ার ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
আরও পড়ুন: স্বল্প বসনার ছবিতে পোপের ‘লাইক’
তবে পরে এই 'লাইক' তুলে নেয়া হয়। সে সময় ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
‘ফ্রান্সিসকাস’ অ্যাকাউন্ট থেকে লাইক পাওয়ার পর ব্যাপক আলোচিত হয়ে ওঠেন নাতালিয়া। প্রতিক্রিয়ায় তিনি লেখেন- ‘এবার আমি অন্তত স্বর্গে যাব।’
এর পরের মাসেই ইন্সটাগ্রামে লাস্যময়ী স্বল্পবসনা মডেলের ছবিতে লাভ রিঅ্যাক্টের সাইন দিয়ে বড়দিনের ঠিক আগে ফের আলোচনার জন্ম দেন পোপ ফ্রান্সিস। এবার তিনি মুগ্ধ হন মডেল মার্গট ফক্সের ছবিতে।
আরও পড়ুন: এবার আরেক লাস্যময়ীর ছবিতে পোপের লাভ রিঅ্যাক্ট
ইন্সটাগ্রামে কালো সাঁতারের পোশাকে ছবি পোস্ট করেছিলেন মার্গট। আর সেটিই দৃষ্টি কাড়ে ভ্যাটিকান প্রধানের।
পোপের লাভ রিঅ্যাক্ট পাওয়ার পর দারুণ উচ্ছ্বসিত মার্গট লেখেন, 'আমার ছবিতে পোপের লাইক দেয়া মানেই আমার জন্য স্বর্গের দ্বার উন্মুক্ত।'