বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাহারি পোশাকে আনন্দের ঈদ

  •    
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২২ ১২:১০

বরাবরের মতো পুরোনোকে পেছনে ফেলে এবারও পোশাকে এসেছে নতুন ধারা। ফ্যাশনেবল পোশাকের পাশাপাশি আরামের দিকটাও লক্ষ রাখা হচ্ছে এখন। পোশাকের এই নতুন ধারা আনতে ভূমিকা রেখেছে করোনা ও গরম। আঁটসাঁটের বদলে ঢিলেঢালা কাট প্রাধান্য পাচ্ছে। জমকালো পোশাকের বদলে আরাম ও স্বস্তি পাওয়া যাবে এমন পোশাকই খুঁজছেন ক্রেতারা।

ঈদের পোশাকের প্রতি ভালোবাসাটা একটু অন্যরকম। ঈদ পুরোনো হয়ে যাবে বলে ছোটবেলায় আমরা ঈদের পোশাক লুকিয়ে রাখতাম। নতুন প্রজন্মের কাছেও ব্যাপারটা সে রকমই। নতুন কেনা পোশাকের প্রতি তাদের একটা মোহ থাকে। ঈদের দিন আসার আগেই চুপি চুপি পোশাকটি এক নজর দেখে নেই। হারিয়ে যাই আবেগে, ভালোবাসায়।

বরাবরের মতো পুরোনোকে পেছনে ফেলে এবারও পোশাকে এসেছে নতুন ধারা। ফ্যাশনেবল পোশাকের পাশাপাশি আরামের দিকটাও লক্ষ রাখা হচ্ছে এখন। পোশাকের এই নতুন ধারা আনতে ভূমিকা রেখেছে করোনা ও গরম। আঁটসাঁটের বদলে ঢিলেঢালা কাট প্রাধান্য পাচ্ছে। জমকালো পোশাকের বদলে আরাম ও স্বস্তি পাওয়া যাবে এমন পোশাকই খুঁজছেন ক্রেতারা।

_

টপস-কামিজ

ব্যতিক্রমী কাটছাঁটের টপস এবারে ঈদ ফ্যাশনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কামিজ, টপস ও গাউনের গলা, হাতায় বৈচিত্র্য সবচেয়ে বেশি। গরম বলেই স্লিভলেস বেশি চোখে পড়ছে। একই ডিজাইনে হাতাসহ এবং হাতা ছাড়া দুই ধরনের কালেকশনই আছে।

শর্ট স্লিভ, কোয়ার্টার, সেমি কোয়ার্টার ও ফুল স্লিভ সব রকম হাতার কালেকশনই আছে। হাতায় ব্যবহার হয়েছে রকমারি কাটছাঁট। কোল্ড শোল্ডার, অফ শোল্ডার, বেল বটমসহ আরো কত কী! নতুনত্ব এসেছে নেক লাইনেও। বড় গোল গলা থেকে শুরু করে বোট নেক, ব্যান্ড কলার, হাইনেক, শেরোয়ানি, পাঞ্জাবি গলাসহ সবই দেখা গেছে এবারের ঈদের জামায়। উৎসবের লুক ফুটিয়ে তুলতে লেইস, ফ্লেয়ার ও ফ্রিল ব্যবহার হয়েছে। দেশি-বিদেশি ডিজাইনের মিশেলে চলছে ফিউশন। মেয়েদের সব ধরনের পোশাকে লেয়ারিং স্টাইল এবার ঈদেও বহাল আছে। ফ্যাব্রিকসের ধরন বুঝে আরামের বিষয়টি মাথায় রেখে দুই, তিন ও চার লেয়ারের নকশাও দেখা গেছে।

পোশাক: বিশ্বরঙ

মাঝেমধ্যে বৃষ্টি আর ভাপসা গরমের আশঙ্কা মাথায় রেখে ঈদের পোশাক ডিজাইন করেছেন ডিজাইনাররা। কামিজের লেংথ এবার মিড লং, লম্বায় ৩৫ থেকে ৩৮-এর মধ্যেই থাকছে। তরুণীদের কথা মাথায় রেখে টপস ও শার্টে বেশ বৈচিত্র্য এনেছে ফ্যাশান হাউসগুলো। কামিজ, লেডিস শার্টে উঁচু-নিচু, কোনা বের হওয়া বা জ্যামিতিক কাট থাকছে। আরামদায়ক সুতি কাপড়ে হালকা ও উজ্জ্বল রং দুটোই রয়েছে।

দেশীদশসহ বেশ কিছু ব্র্যান্ডশপ ঘুরে দেখা গেছে, কামিজ-টপসের সঙ্গে হরেক রকম কটি। কখনো পোশাক থেকে আলাদা, আবার কখনো পোশাকের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া। টপস বা টি-শার্টের মতো কম উচ্চতার পোশাকের সঙ্গে লং কটি আর গাউন বা লং ধাঁচের কামিজ বা টপসের শর্ট কটি রাখা হচ্ছে। ফ্যাশনপ্রেমীরা এখন শাড়ির সঙ্গেও মিলিয়ে পরছেন কটি। ব্লাউজের সঙ্গে মিলিয়েও অনেকে কটি বানিয়ে নিচ্ছেন।

_

প্যান্ট

পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চুড়িদার, ডিভাইডার, পালাজ্জো, স্ট্রেইট প্যান্ট, ধুতি-সালোয়ার, সিগারেট প্যান্ট ও বেল বটম প্যান্ট থাকছে। সিঙ্গেল কামিজ বা টপসের জন্য আলাদা সালোয়ার ও প্যান্টের কালেকশনও রাখা হয়েছে। গরম বলেই ফ্যাব্রিকসে সুতি ও লিনেনের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। ফ্যাশন ডিজাইনার তাসলিমা নীলু বলেন, ‘এখন বিভিন্ন ধরনের সুতি সুতার মিশেলে তৈরি হচ্ছে আরামদায়ক ফ্যাব্রিকস। সুতি ও লিনেন সুতার মিশ্রণে ফ্যাব্রিকস রেখেছি ঈদ কালেকশনে। এক্সক্লুসিভ কালেকশনে সিল্ক ও মসলিন ফ্যাব্রিকসও থাকছে। ছিমছাম ডিজাইনে উজ্জ্বল রং এবং হালকা নকশায় গর্জিয়াস আমেজ আনতে চেয়েছি। ফ্যাশন দুনিয়া এখন পোশাকে নিত্যনতুন কাটছাঁট নিয়ে ব্যস্ত। সুতি-লিনেন ছাড়াও সিল্ক, মসলিন, শিফন কাপড়ে নকশা হয়েছে এবার ঈদে। পোশাকের নকশায় বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টের সঙ্গে কারচুপি, এমব্রয়ডারি আর হাতের কাজের ফিউশন ঘটানো হয়েছে।’

_

শাড়ি

শাড়ি এমন একটি পোশাক, যেটি কৈশোর পেরোনো বাড়ির ছোট মেয়েটি থেকে শুরু করে বয়জ্যেষ্ঠ দাদি-নানি সবার পছন্দ। ঈদের দিন একটা শাড়ি না পরলে যেন ঈদটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বরাবরের মতো এবারের ঈদের শাড়ির ডিজাইনে ফুলেল মোটিফ ব্যবহার করা হয়েছে বেশি। পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে জ্যামিতিক মোটিফ। সুতি, হাফ সিল্ক, পিওর সিল্ক ও মসলিনের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী জামদানি, কাতান, কোটা আর দেশীয় তাঁতে বোনা সুতির শাড়ি তো থাকছেই।

শাড়ির ডিজাইনে নকশার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ন্যাচারাল ডাই ও বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টের সঙ্গে সুতার নকশা, মেশিন এমব্রয়ডারি, নকশিকাঁথার বুনন। শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে জমিনজুড়ে ব্যবহৃত হয়েছে একই রঙের (জলছাপ) নকশা। নকশার মাঝে ছোট ছোট আয়না আর চুমকির নকশা করা হয়েছে জমকালো লুক আনতে।

পোশাক: বিশ্বরঙ

বাজার ঘুরে দেখা গেছে শাড়ির পাড়, কুঁচি আর আঁচলে আলাদা নকশার ফিউশন ডিজাইন গতবারের মতো এবারও চলছে। উত্সবের আমেজ আনতে শাড়ির আঁচলে টারসেল, ঝালর আর পাড়ে ফ্রিল নকশা ব্যবহার হয়েছে। গরমের এই ঈদে শাড়ির রঙেও দেখা গেল দারুণ বৈচিত্র্য। নীল, সবুজ, বেগুনি, গোলাপি, লাল, হলুদ, কমলার পাশাপাশি খয়েরি, জলপাই, লাল-খয়েরি, ইন্ডিগো এমন বাহারি রঙের শাড়ি পাবেন ঈদ বাজারে।

এ বিভাগের আরো খবর