শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ঝিঁঝি ধরা একটি সাধারণ সমস্যা। বিশেষ করে হাত এবং পায়ে এটি বেশি হয়ে থাকে। শরীরের কোনো অংশে লম্বা সময় চাপ পড়ার ফলে কিছুক্ষণের জন্য যে অসাড় অনুভূতির জন্ম হয় তাকেই ঝিঁঝি ধরা বলে।
মেডিক্যালের ভাষায় একে বলা হয় ‘প্যারেসথেসিয়া’। এ অবস্থাকে ইংরেজিতে ‘পিনস অ্যান্ড নিডলস’ও বলা হয়ে থাকে। ঝিঁঝি ধরলে সাধারণত অসাড়তার পাশাপাশি মনে হয় অসংখ্য সুই দিয়ে শরীরের ওই অংশটিতে খোঁচা দেয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এক ভঙ্গিতে দীর্ঘ সময় থাকলে পেশি নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুগুলোর ওপর চাপ পড়ে। এতে কিছু অংশে রক্ত জমাটও বেঁধে যেতে পারে। তখন আর অনুভূতি পাওয়া যায় না। ফলে একবার ঝিঁঝি ধরলে এ থেকে মুক্তি পেতে অপেক্ষা করতে হয়। অনেকেই আবার এ যন্ত্রণা সহ্য করতে পারে না। তাই জেনে নিন ঝিঁঝি ধরা থেকে মুক্তির উপায়-
স্নায়ু
ঝিঁঝি ধরা স্থানের স্নায়ুগুলোকে চাপমুক্ত করলে ঝিঁঝি ধরা সেরে যায়। এ জন্য নিজের অবস্থান পরিবর্তন করুন। যেভাবে ছিলেন এর বিপরীত ভঙ্গিতে থাকার চেষ্টা করুন।
নড়াচড়া
ঝিঁঝি ধরলে চলাচল করতে অনেক সমস্যা হয়। তবে কষ্ট হলেও হাঁটাচলা করতে চেষ্টা করুন। এতে রক্তপ্রবাহ বাড়বে। ফলে ঝিঁঝি ধরা অঙ্গটি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
হাত
হাতে ঝিঁঝি ধরলে, সারার আগ পর্যন্ত হাত মুষ্টিবদ্ধ করা ও খোলা চালিয়ে যান। এটি এক ধরনের ব্যয়াম। এতে রক্তপ্রবাহ বাড়ে এবং স্নায়ু শান্ত হয়।
পা
পায়ে ঝিঁঝি ধরলে আঙুলগুলো ওপর-নিচ করুন। এতে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। এতে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক হয় এবং দ্রুত ঝিঁঝি ভাব চলে যায়।
বাহু
হাতের বাহুতে ঝিঁঝি ধরলে, মাথা এক পাশ থেকে আরেক পাশে ঘোরালে অস্বস্তিকর অনুভূতি চলে যাবে। তবে এ কাজটি ধীরে ধীরে করবেন। তাড়াহুড়ায় ফল পাওয়া যাবে না।
সতর্কতা: উপরের কাজগুলো করার পরও যদি ঝিঁঝি ভাব না সারে কিংবা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায় তখন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।