বর্তমানে বিশ্বে ৩৫ লাখ সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন। এ চাহিদা মেটাতে দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা কোর্স, সার্টিফিকেট কোর্স ও ব্যাচেলর ডিগ্রি চালু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রোববার আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি মিলনায়তনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো গাইডলাইনস ও সাইবার সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি ২০২১-২০২৫ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং বিশ্বে বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি র্যাংকিং বিষয়ে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালক (অপারেশন) এবং বিজিডি ই-গভসার্টের প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ।
সাইবার নিরাপত্তায় জনশক্তির বৈশ্বিক চাহিদার তথ্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে এখন সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বর্তমানে ৩৫ লাখ সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টের প্রয়োজন। গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টের চাহিদা মেটাতে দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা কোর্স, সার্টিফিকেট কোর্স ও ব্যাচেলর ডিগ্রি চালু করা প্রয়োজন। এজন্য ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ড কমিশনের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
সামাজিক মাধ্যম মিডিয়া ব্যবহারে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবহারকারীর অজান্তেই ৭০ হাজার তথ্য সংগ্রহ করে ফেসবুক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই তথ্যগুলোর মধ্যে দুর্বল দিকগুলো ব্যবহার করে ব্যবসা করছে তারা। আয় করছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার।
‘পক্ষান্তরে এই দুর্বল ও মিথ্যা তথ্যগুলোর মাধ্যমে ২০১২ সালে রামুতে, ২০১৬ সালে নাসিরনগরে, ২০১৭ ঠাকুরপাড়া, ২০১৯ সালে ভোলায় এবং ২০২১ সালে এসে কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও রংপুরে প্রাণহানি ও সম্পদ বিনষ্ট করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে আবেগ বা অভিব্যক্তি প্রকাশে ব্যক্তি, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। কোনো মহল যেন দেশের সুনাম ও মর্যাদা নষ্ট এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
এজন্য আইসিটি বিভাগের অধীন ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে প্রশিক্ষণ চলছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
গত চার বছরে হার্ডওয়্যার শিল্পখাতে সক্ষমতা অর্জন হয়েছে উল্লেখ করে বলেন তিনি বলেন, করোনাকালীন গত ২০ মাসে সাইবার সিকিউরিটির জন্য প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বর্তমান বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে।