সাধারণত DEN-1, DEN-2, DEN-3 ও DEN-4 ভাইরাস থেকে ডেঙ্গু হয়। এই ভাইরাস বহনকারী এডিস অ্যাজিপ্টি মশা কামড়ালে এডিস জ্বরে আক্রান্ত হয় মানুষ। তবে এটি ছোঁয়াচে রোগ নয়। এই চারটি ভাইরাসকে বলা হয় সিরোটাইপ, কারণ এগুলো পৃথকভাবে শরীরের অ্যান্টিবডিকে প্রভাবিত করে। একজন ব্যক্তি এই চারটি ভাইরাস দ্বারা অন্তত চারবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কখন এডিস মশা কামড়ায়
এডিস মশা সবচেয়ে বেশি কামড়ায় দুপুর বেলা। সূর্যোদয়ের ২ ঘণ্টা পর থেকে সূর্যাস্তের ১ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত এডিস মশা বেশি সক্রিয় থাকে। তাই বলে রাতে একেবারেই কামড়ায় না, এমন নয়। এডিস মশা রাতেও কামড়াতে পারে। বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে রাতে উজ্জ্বল আলো থাকে, সেখানে এডিস মশার সক্রিয়তা বেশি। অফিস, শপিং মল, ইনডোর অডিটরিয়াম আর স্টেডিয়ামের মতো জায়গাগুলোতে এডিস মশার আনাগোনা বেশি। কেননা এসব জায়গায় উজ্জ্বল আলো থাকে।
সতর্কতা
১. দিন ও রাত উভয় সময়েই মশারি ব্যবহার করুন।
২. ফুল হাতার জামা পরতে চেষ্টা করুন।
৩. এডিস মশা দিনে কামড়ানোর প্রবণতা বেশি, তাই দিনের বেলা পায়ে মোজা ব্যবহার করুন।
৪. শিশুদের হাফপ্যান্টের বদলে ফুলপ্যান্ট বা পায়জামা পরান।
৬. মশা যেন না কামড়াতে পারে এ জন্য শরীরের খোলা স্থানে মশারোধী বিভিন্ন ক্রিম বা তেল ব্যবহার করুন।
৭. বাসার জানালায় স্থায়ী নেট ব্যবহার করুন। এতে মশা জানালা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
৮. মশা তাড়াতে স্প্রে, লোশন, ক্রিম, কয়েল বা ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৯. ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটা, বাড়িঘরের আশপাশে যেকোনো পাত্রে পানি যেন জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখুন।
১০. বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার রাখুন।