চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাংলাদেশের প্রথম সাদা বাঘ শুভ্রা একটি শাবক জন্ম দিয়েছে।
গত ২৬ আগস্ট শাবকটির জন্ম হলেও বিষয়টি বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে জানায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর ১১ মাস বয়সী রাজ এবং ৯ মাস বয়সী পরী নামের দুটি বাঘকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই রাজ-পরি যুগলের তিনটি ছানার জন্ম হয়, যার মধ্যে দুটি ছিল হোয়াইট টাইগার, অন্যটি কমলা-কালো ডোরাকাটা।
পরদিন একটি হোয়াইট টাইগার মারা যায়। অন্য সাদা বাঘিনীটির নাম রাখা হয় শুভ্রা। কমলা-কালো বাঘিনীটির নাম দেয়া হয় জয়া।
এবার রাজ-শুভ্রা যুগলের ঘরে জন্ম নেয় কমলা-কালো ডোরাকাটা বাঘিনী।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এখন মোট বাঘের সংখ্যা দাঁড়াল ১০টি। যার মধ্যে দুটি বাঘ, অন্যগুলো বাঘিনী।
শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ‘ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ে যে সমস্যা, তা হলো অনেক সময় বাঘ তার বাচ্চাকে দুধ দিতে চায় না। সেক্ষেত্রে তাকে আলাদা করে দুধ দিয়ে বাঁচানো খুবই কঠিন কাজ।
‘এর আগে বাঘশাবক জো বাইডেনের জন্মের সময় বাঘেদের আলাদা করে দুধ খাওয়ানোর প্রথম অভিজ্ঞতা হয়। এই অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগছে এবং বাঘের যে অধিক মৃত্যুহার তা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কমাতে পারছে।’
ক্যাপটিভ ব্রিডিং বলতে কৃত্রিম অবরুদ্ধ পরিবেশে যে কোনো ছানাকে তা (উত্তাপ) দেয়াকে বোঝায়।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার এই ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর আরও বলেন, ‘দিনে ছয় বার ৭৫ মিলিমিটার করে ছাগলের দুধ নতুন শাবকটিকে খাওয়ানো হচ্ছে। আগামী ছয় মাস এটি আমাদের তত্ত্বাবধানে থাকবে। এরপর একে খাঁচায় দেয়া হবে।’