মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার তার এশিয়া সফরের প্রথম ধাপে মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন। এই সফরে তিনি আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনায় অংশ নেবেন।
ট্রাম্প সফরের শেষ দিনে দক্ষিণ কোরিয়ায় সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ওয়াশিংটন ছাড়ার আগে তিনি ইঙ্গিত দেন, ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হতে পারে।
জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর এটি ট্রাম্পের প্রথম এশিয়া সফর। তিনি বলেন, সি চিন পিংয়ের সঙ্গে একটি ব্যাপক বাণিজ্য চুক্তি করার আশা করছি।
তার মতে, চীন নতুন ১০০ শতাংশ শুল্ক এড়াতে একটি সমঝোতায় আসবে।
মালয়েশিয়ায় ট্রাম্প দেশটির সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করবেন এবং থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির সাক্ষী থাকবেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে বলেন, আমরা পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই একটি শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করব।
এ সফরে ট্রাম্পের জাপান সফরের সম্ভাবনাও রয়েছে। তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাকাইচি জানান, জাপান-মার্কিন জোটকে শক্তিশালী করা আমার প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
এই সফরের মূল আকর্ষণ হবে দক্ষিণ কোরিয়া, যেখানে ট্রাম্প ও সি চিন পিংয়ের বৈঠককে কেন্দ্র করে বিশ্ব বাজার নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। আলোচনায় শুল্ক সংকট ও বিরল-পৃথিবী খনিজ নিয়ন্ত্রণে চীনের ভূমিকা মুখ্য বিষয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যেও সাক্ষাতের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
কিম জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন যদি পিয়ংইয়ংকে পরমাণু অস্ত্র ত্যাগে চাপ না দেয়, তবে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে রাজি থাকবেন।