বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক বাহিনীতে দাড়ি নিষিদ্ধ, বিপাকে সংখ্যালঘুরা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:০১

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে দাড়ি নিষিদ্ধ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে বিপাকে পড়েছেন মুসলিম, শিখদের মতো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা। এমন নির্দেশনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের সাম্প্রতিক মন্তব্যে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মার্কিন সামরিক বাহিনীতে দাড়ি, লম্বা চুল এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে শিখ, ইহুদি ও মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা বিপাকে পড়েছেন, যাদের ধর্মীয় কারণে দাড়ি রাখার অনুমতি রয়েছে।

গত মঙ্গলবার ভার্জিনিয়ার কোয়ান্টিকোতে এক বক্তব্যে হেগসেথ বলেন, ‘আর কোনো দাড়ি নয়, লম্বা চুল নয়, অযথা ব্যক্তিগত প্রকাশ নয়। দাড়ি চাইলে স্পেশাল ফোর্সে যোগ দেন, না হলে শেভ করুন।’

প্রায় ৮০০ জেনারেল, অ্যাডমিরাল ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সামনে দাড়িওয়ালা সেনাদের ব্যঙ্গ করে ‘বিয়ার্ডো’ এবং মোটা কর্মকর্তাদের ‘ফ্যাট জেনারেলস’ বলে আখ্যায়িত করেন মার্কিন মন্ত্রী।

হেগসেথের বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর পেন্টাগন ‘গ্রুমিং স্ট্যান্ডার্ডস ফর ফেসিয়াল হেয়ার’ শীর্ষক একটি মেমো প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ২০১০ সালের আগে যেসব নিয়ম ছিল, তাতে ফিরে যাওয়া হবে এবং ‘ফেসিয়াল হেয়ার ওয়েভার’ অনুমোদিত হবে না।

নিয়ম অনুযায়ী, সবাইকে ক্লিন শেভ রাখতে হবে, সাইডবার্ন কান ঢাকার ওপরে শেষ হবে। গোঁফ রাখা যাবে, তবে তা সুশৃঙ্খলভাবে ছাঁটা থাকতে হবে। দাড়ি, গোঁফ ছাড়া দাড়ি, গোঁটি বা অন্য কোনো মুখের লোম রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, বিশেষ অনুমোদন না থাকলে।

সামরিক বাহিনীর সব শাখাকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নিয়ম কার্যকর করার পরিকল্পনা জমা দিতে হবে এবং ৯০ দিনের মধ্যে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। মেমোতে আরও উল্লেখ করা হয়, যারা মানতে অক্ষম হবেন, তাদের নিয়োগ স্থগিত রাখা হবে।

শিখ কোয়ালিশন জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীর নতুন নিয়মে দাড়ি বা লস্বা চুল রাখার সুযোগ আর থাকবে না। এর ফলে সেনাসদস্যদের ধর্মীয় অনুশীলন ও সামরিক সেবার মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে।

মিলিটারি রিলিজিয়াস ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের (এমআরএফএফ)-এর প্রতিষ্ঠাতা মিকি ওয়েইনস্টাইন বলেছেন, এটি শুধু দাড়ি বা চুলের ব্যাপার নয়, বরং একটি ‘সার্বিক, সর্বজনীন আক্রমণ’, যা মূলত অ-শ্বেতাঙ্গ, অ-খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘু ধর্মীয় সদস্যদের নিশানা করছে।

এ বিভাগের আরো খবর