গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার আটক অভিযাত্রীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পরিবর্তে কারাগারে পাঠাতে চান ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতমার বেন-গিভর। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এই আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এক্সবার্তায় বেন-গিভর বলেছেন, “ফ্লোটিলার আটক অভিযাত্রীদের যদি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠান—তাহলে আবার তারা ফিরে আসবে, বার বার আসবে। আমার মনে হয়, এখনই দেশে না পাঠিয়ে কয়েক মাস তাদের ইসরায়েলের কারাগারে রাখা উচিত। এতে তারা সন্ত্রাসীদের গন্ধে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।”
এর আগে এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওবার্তায় ফ্লোটিলার অভিযাত্রীদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন বেন-গিভর।
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে গাজার উপকূলের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ মিশনের অন্তর্ভুক্ত ৪৩টি নৌযান। ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লেবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা— ফিলিস্তিনিভিত্তিক এই ৪ আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চার সংগঠনের জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) ছিল এই মিশনের মূল উদ্যোক্তা।
সুইডেনের নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ও রাজনীতিবিদ মান্ডলা ম্যান্ডেলাসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক ছিলেন সেই মিশনে। এই নাগরিকদের কেউ পার্লামেন্টারিয়ান, কেউ আইনজীবী, কেউ রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী এবং কেউ বা স্বেচ্ছাসেবী।
কিন্তু গাজার জলসীমার কাছাকাছি আসার পর একে একে সবগুলো নৌযান এবং অভিযাত্রীদের আটক করে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যায় ইসরায়েলের নৌবাহিনী। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এখনও আশদোদ বন্দরেই আছেন তারা।
সূত্র : আলজাজিরা