বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রকাশ্যে এলেন নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী, বললেন ‘দেশ ছেড়ে পালাবো না’

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬

নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (সিপিএন-ইউএমএল) চেয়ারম্যান কে পি শর্মা অলি ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি দেশ ছেড়ে পালাবেন না ও বর্তমান সরকারের হাতে নেপাল তুলে দেবেন না।

শুক্রবার (ভক্তপুরের গুণ্ডুতে দলের যুব সংগঠনের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আপনারা কি মনে করেন, আমরা এই ভিত্তিহীন সরকারের হাতে দেশ তুলে দিয়ে পালিয়ে যাব?

বিশ্বস্ত দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি দাবি করেন, তারাই নেপালকে পুনরায় গড়ে তুলবেন। অলি বলেন, আমরা এই দেশকে সাংবিধানিক ধারায় ফিরিয়ে আনব, শান্তি ও সুশাসন ফিরিয়ে দেব।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারি বাসভবন ছাড়ার ১৮ দিন পর এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্য। গত ৯ সেপ্টেম্বর বালকোটে তার ব্যক্তিগত বাড়ি প্রতিবাদকারীরা জ্বালিয়ে দেওয়ার পর তিনি প্রথমে নয় দিন সেনা সুরক্ষায় ছিলেন। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর গুণ্ডুতে ভাড়া বাড়িতে ওঠেন।

তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান সুশীলা কার্কি সরকার জনগণের ম্যান্ডেট থেকে আসেনি, বরং ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে।

নিজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নাকচ করে অলি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীকে যেসব নির্দেশ দিয়েছিলেন সেগুলোর রেকর্ড প্রকাশ করার চ্যালেঞ্জ জানান। তিনি বলেন, সাহস থাকলে প্রকাশ করুন। আমি কী নির্দেশ দিয়েছি, সরকারি কর্মীদের কী বলেছি- সব প্রকাশ করুন।

অলি আরও অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার তার নিরাপত্তা দিচ্ছে না, যদিও তার নতুন বাসভবনে হামলার হুমকি ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হচ্ছে, অলির নতুন বাড়ি খুঁজে বের করো, হামলা চালাও। সরকার কী করছে? শুধু দেখছে।

তিনি সরকারের সেই সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেন যেখানে বলা হয়েছে, অলির পাশাপাশি নেপালি কংগ্রেস সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা, আরজু রানা দেউবা, রমেশ লেখক ও দীপক খড়কা প্রমুখের পাসপোর্ট আটকে রাখা হবে। আরজু রানা দেউবা, লেখক ও খড়কা যথাক্রমে অলি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জ্বালানিমন্ত্রী ছিলেন।

অলি বলেন, এখন সরকার বলছে আমার বিশেষ সুবিধা কেড়ে নেবে, পাসপোর্ট আটকে দেবে, আমার বিরুদ্ধে মামলা করবে। তারা দেশকে অনিরাপত্তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

চলতি মাসেই জেন-জি আন্দোলনের মুখে পতন ঘটে ওলি সরকারের। আন্দোলন দমনে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে বহু প্রাণহানি ঘটানোর জন্য কেপি শর্মা ওলি ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখক ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনাগুলোতে সরকারের ব্যর্থতাতেই ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে। কমিশন বলেছে, প্রথম দিনের অর্ধেক সময় বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু ঘটার পর ৯ সেপ্টেম্বর আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে।

এ বিভাগের আরো খবর