আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্যের ভার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর ছেড়ে দিতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন দুই নেতা।
ওই সময় বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং তাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে বাইডেন প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জড়িত ছিল। সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জুনিয়র সোরোসের (জর্জ সোরোসের ছেলে) বৈঠকও তা প্রমাণ করে। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন?’
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনে আমেরিকা বা আমেরিকান ডিপ স্টেটের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
‘এটি এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (মোদি) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন; শত শত বছর ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। তাই বিষয়টি (বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উত্তর দেওয়ার বিষয়) আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতেই ছেড়ে দেব।’
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেননি ট্রাম্প। ওই সময় ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আকর্ষণীয় বাণিজ্যচুক্তি হতে চলেছে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অভিবাসন নীতির প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে দেশটিতে অবস্থানরত কয়েক হাজার অনথিভুক্ত ভারতীয় অভিবাসীকে মোদি সরকার ফিরিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।