ইসরায়েলের পাল্টা হামলা শুরুর ১৫ মাস পর রোববার যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়।
আল জাজিরা জানায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় মুক্তি প্রতীক্ষিত তিন জিম্মির তালিকা ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করে গাজার নিয়ন্ত্রক দল হামাস। এর পরই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, ইসরায়েল ও হামাস সম্মত যুদ্ধবিরতি স্থানীয় সময় রোববার বেলা সোয়া ১১টা থেকে কার্যকর হবে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় আরও জানায়, রোববার বেলা দুইটার পর তিন জিম্মি মুক্ত হবেন। জীবিত আরও চার নারী জিম্মিকে সাত দিনের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হবে।
আল জাজিরার খবরে উল্লেখ করা হয়, মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্র কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মাজেদ আল-আনসারি বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি কখন শুরু হবে, সে সংক্রান্ত খবরের বিষয়ে আমরা নিশ্চিত করছি যে, আজ মুক্ত হতে যাওয়া তিন জিম্মির নাম ইসরায়েলি পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
চুক্তি অনুযায়ী, গ্রিনিচ মান সময় সাড়ে ছয়টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তার আগে নেতানিয়াহু বলেন, হামাস রোববার মুক্ত হতে চলা জিম্মিদের তালিকা হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে না।
দুই পক্ষের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম দিনে যুদ্ধ বন্ধের পাশাপাশি তিন ইসরায়েলি জিম্মি এবং ৯৫ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক হিন্দ খৌদারি জানান, হাজারো ফিলিস্তিন এখন উত্তর গাজার জাবালিয়া এবং দক্ষিণ গাজার রাফাহর মতো এলাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যেগুলোতে এতদিন তাদের যেতে দেওয়া হয়নি।
যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে রোববার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৩৬ জন আহত হয় বলে জানায় উপত্যকার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ।
হামাসের নেতৃত্বে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলায় কমপক্ষে ১ হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হন। ওই দিন জিম্মি করা হয় দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে।
ওই হামলার জবাবে একই দিন গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত ১৫ মাস ধরে দেশটির হামলায় কমপক্ষে ৪৬ হাজার ৮৯৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও এক লাখ ১০ হাজার ৭২৫ জন আহত হয়।