বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারে নিরাপত্তাকর্মীদের বাধা

  • বাসস   
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৫:৪৭

প্রেসিডেন্ট ইউন গত ৩ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণকালে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার এ ঘোষণার পর সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে রাখেন। মাত্র ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে তদন্তকারীরা তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বাধা দিয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এএফপি।

বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, ইউনকে এরই মধ্যে আইনপ্রণেতারা দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেছেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর হওয়ার পর গ্রেপ্তার হলে ইউন সুক হবেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি অভিশংসিত হওয়ার পর গ্রেপ্তার হলেন।

প্রেসিডেন্ট ইউন গত ৩ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণকালে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার এ ঘোষণার পর সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্ট ভবন ঘিরে রাখেন। মাত্র ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হয়।

দেশটির দুর্নীতি তদন্তকারী কার্যালয় (সিআইও) বলছে, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর শুরু হয়েছে। তদন্তকারী কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও পুলিশকে ইওলের বাসভবনের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়।

ঘটনাস্থল থেকে এএফপির সাংবাদিক জানান, জ্যেষ্ঠ কৌঁসুলি লি ডাই-হোয়ানসহ তদন্তকারী কর্মীরা কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করেই বাসভবনের ঢোকার চেষ্টা করছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, ইওলের বাসভবনের ভেতরে থাকা সেনাবাহিনীর একটি দল তাদের প্রতিহত করেছে।

প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তাকর্মীরা তদন্তকারীদের পরোয়ানা মানবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তাকর্মীরা এর আগে ইওলের বাসভবনে পুলিশের প্রবেশের চেষ্টা প্রতিহত করেছেন।

সিনিয়র প্রসিকিউটর লি ডাই-হোয়ানসহ তদন্তকারীরা ইউনকে আটক করার জন্য তাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ইউনের বাসভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন।

দেশটির দুর্নীতি তদন্তকারী কার্যালয় বলছে, প্রেসিডেন্ট ইউন সুকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা শুরু হয়েছে। তদন্তকারী কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও পুলিশকে ইওলের বাসভবনের ভেতরে ঢুকতে দেখা গেছে।

ইউনের আইনি দল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার প্রচেষ্টাকে অস্বীকার করে বলেছে, এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আরও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইওলের আইনজীবী ইওন ক্যাপ কিউন বলেছেন, বেআইনি পরোয়ানা কার্যকর করা বৈধ নয়।

ঘটনাস্থল থেকে এএফপির সাংবাদিক জানান, প্রেসিডেন্টের বাসভবন চত্বরে পুলিশের কয়েক ডজন বাস, শত শত পোশাকধারী পুলিশকে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

ইওলের সমর্থকদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ইওলবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২ হাজার ৭০০ পুলিশ ও ১৩৫টি পুলিশের বাস ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।

এ সপ্তাহের শুরুতে একটি আদালত তাকে আটক করার জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদন করেন।

এ বিভাগের আরো খবর