যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের চাপের মুখে অবশেষে লেবাননের হিজবুল্লাহ গেরিলাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুদ্ধবাজ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার।
লেবানন ও ইসরায়েলি কর্মকতাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘টাইমস অফ ইসরায়েল’, ‘প্যান আরব আশারাক-আল-আওসাত’ এবং ‘আল জাজিরা’ পত্রিকা এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে এই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে সোমবারও হিজবুল্লাহ তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায়। হামলা থেকে রেহাই পায়নি ইসরায়েলি বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা এবং দক্ষিণাঞ্চলের নৌ-ঘাঁটিও। হামলা হয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের ঘরবাড়ি এবং বিভিন্ন অবকাঠামোতেও।
এদিকে জেরুসালেম, ওয়াশিংটন ও বৈরুতের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরায়েলের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করতে হবে। তবে তেল আবিব যুদ্ধবিরতির প্রধান প্রধান বিষয়গুলোতে অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘ইয়েনেট’ বলেছে, ইসরায়েলের মনোভাব লেবাননকে জানানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহ প্রধান নাইম কাসেম বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাব আমরা পর্যালোচনা করেছি।
স্পিকার নাবিহ বেরির মধ্যস্থতার মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
নাইম কাসেম আরও বলেন, ‘বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে।’
এছাড়া লেবানন সরকার ও দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিও তারা গ্রহণ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত আমোচ হোচস্টেইন গত সপ্তাহে বৈরুতে জেরুসালেম ও লেবানন সফর করে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, ‘সম্ভাব্য চুক্তিটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এটাই শেষ সুযোগ।
‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে যাবে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। এটাকে পরীক্ষামূলক চুক্তি হিসেবে দেখা হবে।’