রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিল্প কেন্দ্র মহারাষ্ট্র এবং খনিজ সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের লাখ লাখ মানুষ বুধবার বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে।
এ নির্বাচনকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল এবং এর আঞ্চলিক অংশীদারদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের একটি পরীক্ষা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্র ভারতের সবচেয়ে ধনী রাজ্য। রাজ্যটিকে বর্তমানে শাসন করছে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি ও হিন্দু জাতীয়তাবাদী জোট। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড রাজ্য শাসন করছে কংগ্রেস পার্টিসহ বিরোধী জোট।
দুই রাজ্যেই বড় জনসভা করেছেন মোদি।
মাত্র চার মাস আগে তার দল ধাক্কা খেয়েছে এবং সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়াই তৃতীয় মেয়াদে জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছে।
আঞ্চলিক অংশীদারদের সহায়তা নিয়ে তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেন নরেন্দ্র মোদি।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে মোদি লিখেন, ‘এ উপলক্ষে, আমি সব তরুণ ও নারী ভোটারদের বিপুল সংখ্যায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
মোদির জীবনী লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এ বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন মোদির নেতৃত্বের কৌশলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী বছর দিল্লি ও বিহার রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির ওপর এর প্রভাব পড়বে।’
দুই রাজ্যের ভোট গণনা হবে শনিবার।
জাতীয় নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর বিজেপি অক্টোবরে হরিয়ানা রাজ্য নির্বাচনে জয়লাভ করে আবার গতি ফিরে পেয়েছে। সেখানে জরিপকারীরা বিরোধী কংগ্রেস দলের পক্ষে সহজ জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল।