বিশ্বের মোট বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে আটশ’জনই আমেরিকান। আর সেই বিলিয়নেয়ারদের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে প্রার্থীদের প্রচারণায় মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিলিয়নেয়াররা তাদের সম্পদের একটি বড় অংশ ব্যয় করেছেন এবারের নির্বাচনি প্রচারণায়। অনুসন্ধান বলছে, এবারের নির্বাচনি প্রচারণায় ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের সংগৃহীত তিন দশমিক আট বিলিয়ন ডলার তহবিলের ১৮ শতাংশই এসেছে বিলিয়নেয়ারদের থেকে।
দেশের ৮২ জন বিলিয়নেয়ার তাদের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছেন। অপরদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন ৫২ জন। তবে হ্যারিসের প্রচার তহবিলের ৬ শতাংশ এসেছে বিলিয়নেয়ারদের মাধ্যমে। অন্যদিকে ট্রাম্পের তহবিলে বিলিয়নেয়ারদের মাধ্যমে এসেছে ৩৪ শতাংশ।
ট্রাম্পের প্রচারণা তহবিলের একটি বড় অংশ ডোনেট করেছেন দেশের চার বিলিয়নেয়ার। যাদের মধ্যে রয়েছেন টেক জায়ান্ট ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের প্রচারণা তহবিলে মাস্কের ডোনেশনের পরিমাণ ৭৫ মিলিয়ন ডলার। আরেক বিলিয়নেয়ার মিরিয়াম এডেলসন ট্রাম্পের প্রচারণা তহবিলে যোগ করেছেন একশ’ মিলিয়ন ডলার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের বিলিয়নেয়াররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে অর্থের মাধ্যমে সমর্থন দিয়ে থাকেন। যেমন তহবিল সংগ্রহে পিছিয়ে পড়া রিপাবলিকানদের সমতায় ফেরাতে এগিয়ে এসেছেন অনেক বিলিয়নেয়ার।
সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন বলছে, হ্যারিসকে সমর্থন দেয়া বিলিয়নেয়ারদের মধ্যে রয়েছেন বিল গেটস ও নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ। এদের মধ্যে হ্যারিসের প্রচারণা তহবিলে বিল গেটসের ডোনেশনের পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন ডলার।
স্বভাবতই বিলিয়নেয়ারদের বিশাল অংকের এই অর্থ ডোনেশনের পেছনের কারণ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। মনে করা হচ্ছে ট্রাম্প নির্বাচনে জয়লাভ করলে তাকে সমর্থন দেয়া ইলন মাস্ককে ভবিষ্যতে রিপাবলিকান প্রশাসনের কেবিনেটে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখন ভোটগ্রহণ চলছে। এখন দেখার বিষয় এবারের নির্বাচনে বিলিয়নেয়ারদের ভূমিকা ভোটারদের মন জয়ে কতটা প্রভাব ফেলতে পেরেছে।