প্যারিস অলিম্পিক শুরুর আগেই ধাক্কা খেল ফ্রান্স। দেশটির দ্রুতগতির রেল নেটওয়ার্কে ধারাবাহিকভাবে সমন্বিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। রেলওয়ের বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করে সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা।
শুক্রবার প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে এ ধরনের হামলার কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
রাষ্ট্রীয় ট্রেন পরিচালনাকারী সংস্থা এসএনসিএফের এক অপারেটর জানিয়েছেন, প্যারিসকে উত্তরে লিলি, পশ্চিমে বোর্দো ও পূর্বে স্ট্রাসবার্গের মতো শহরগুলোর সঙ্গে সংযোগকারী লাইন বরাবর স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। এর ফলে অন্তত তিনটি অঞ্চল- আটলান্টিক, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের দ্রুতগতির রেললাইন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফরাসি রেলওয়ে কোম্পানি এসএনসিএফ বলেছে, দ্রুতগতির রেল নেটওয়ার্ককে অচল করে দিতেই বড় ধরনের এই হামলা চালানো হয়েছে। স্থাপনাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে।
এসএনসিএফ গ্রুপের সভাপতি জানিয়েছেন, এর ফলে প্রায় ৮ লাখ যাত্রী রেল সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ট্রেনের এই নেটওয়ার্কটি অলিম্পিক গেমসের জন্যই প্রস্তুত করা হয়েছিল।
কর্তৃপক্ষ এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নেটওয়ার্কটি ঠিক রাখার জন্য শত শত কর্মীকে একত্রিত করার দিকে নজর দিচ্ছে। তারপরও অনেকগুলো পথে রেল চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে মেরামত করতে পুরো সপ্তাহ লেগে যাবে বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের।
যাত্রীদের নির্ধারিত যাত্রা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে এসএনসিএফ। যাতায়াতের জন্য তাদেরকে রেল স্টেশনে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
প্যারিস অলিম্পিক আয়োজনকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যাপক নিরাপত্তা অভিযান চালানো হচ্ছে। অনুষ্ঠান ঘিরে ৪৫ হাজারের বেশি পুলিশ, ১০ হাজার সেনা ও দুই হাজারের বেশি ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এজেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে।
প্যারিসের পুলিশ প্রধান বলেছেন, রাজধানীর প্রধান স্টেশনগুলোতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে।
তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ। এ ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতারও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে দেশটির পরিবহনমন্ত্রী প্যাট্রিস ভারগ্রিয়েট এটাকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে বর্ণনা করেছেন।