যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে জো বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর ডেমোক্র্যাট দল থেকে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস লড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় নির্বাচন-পূর্ব সবশেষ জরিপের তথ্য বলছে, জনপ্রিয়তার দৌড়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে দুই শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন সম্ভাব্য এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।
রয়টার্স/ইপসোস সোম ও মঙ্গলবার (২২ ও ২৩ জুলাই) পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর ট্রাম্পের চেয়ে ৪২ থেকে ৪৪ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন কমলা হ্যারিস।
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ৫৯ বছর বয়সী কমলা হ্যারিসকে ‘মানসিকভাবে তীক্ষ্ণ এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম’ হিসেবে দেখছেন দেশটির নিবন্ধিত ভোটারদের ৫৬ শতাংশ, যেখানে ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পের প্রতি আস্থা রয়েছে ভোটারদের ৪৯ শতাংশের।
বয়স ও মানসিক সুস্থতার নিয়ে উদ্বেগের কারণে দলের নেতাকর্মীদের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রোববার (২১ জুলাই) আসন্ন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বাইডেন। এরপর সোমবার কমলা হ্যারিস ঘোষণা করেন, তিনি তার দলের কাছ থেকে (প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ে) যথেষ্ট সমর্থন পেয়েছেন।
এদিকে সোমবার পিবিএস/এনপিআর/মেরিস্ট পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্প কমলা হ্যারিসের চেয়ে ৪৬-৪৫ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন।
জরিপে অবশ্য এ-ও দেখা গেছে, ৬৫ শতাংশ ডেমোক্র্যাটসহ ৪১ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, বাইডেনের পদত্যাগ নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে।
মঙ্গলবার উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে নিজের প্রথম নির্বাচনি সমাবেশে হ্যারিস নিজের ও ট্রাম্পের মধ্যে যথাক্রমে ‘স্বাধীনতা, সহানুভূতি ও আইনের শাসন’ বনাম ‘বিশৃঙ্খলা, ভয় ও ঘৃণা’-এর মধ্যে একটিকে বেছে নিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চান।’
এদিকে মঙ্গলবার এক কনফারেন্স কলে ট্রাম্প হ্যারিসকে পরাজিত করতে নিজের দক্ষতার ওপর আস্থা প্রকাশ করেছেন। শুধু তা-ই নয়, হ্যারিসের সঙ্গে একাধিক বিতর্কের প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।
দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কনফারেন্স কলের বেশিরভাগ সময় তিনি অভিবাসন ও সীমান্ত ইস্যুতে কমলা হ্যারিসের রেকর্ডের সমালোচনা করেন।