লেবাননের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর টায়ারে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ এক সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
বুধবার টায়ারের আল-হোশ এলাকায় একটি বেসামরিক গাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলা চালায়।
লেবাননের একটি সামরিক সূত্র জানায়, একটি ইসরায়েলি ড্রোন আকাশ থেকে গাড়িটি লক্ষ্য করে পর পর দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এতে গাড়িটি পুড়ে যায়, সেসঙ্গে গাড়ির চালক ও যাত্রী নিহত হন।
ওই গাড়ির চালক ছিলেন হিজবুল্লাহর একটি সামরিক ইউনিটের কমান্ডার, যার ডাকনাম হজ আবু নিমাহ। দক্ষিণ লেবাননের হাদ্দাথা গ্রামের বাসিন্দা নিমাহ দেশটির দক্ষিণ সীমান্ত এলাকার পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় সেক্টরের সীমান্তরেখায় কাজ করতেন।
এ ঘটনায় হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য আসেনি।
সূত্র আরও জানায়, দক্ষিণ লেবাননের গ্রাম ও শহরে তিনটি বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এ সময় সীমান্তের পাঁচটি গ্রাম ও শহরে অন্তত ৩০টি শেল নিক্ষেপ করে তারা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা করার সময় থেকেই হামলা শুরু করেছে হিজবুল্লাহ। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে গুলিবিনিময় চলছে। তবে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সঙ্গে লড়াই সম্প্রতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। এটি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তা একটি পূর্ণ যুদ্ধের রূপ নিতে পারে।
হিজবুল্লাহ হামাসের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হলে ইরানও তাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে তারাও ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে। সর্বোপরি, এটি একটি বড় পর্যায়ের আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।
সম্প্রতি হিজবুল্লাহর হামলা মোকাবিলায় ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে সৈন্য জড়ো করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এ ব্যাপারে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘আমাদের কাছে নতুন এমন অস্ত্র ও গোয়েন্দা সক্ষমতা রয়েছে, যা ইসরায়েলের গভীরে আরও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করার সক্ষমতা রাখে।
হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেই কেবল ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করা হবে।
জবাবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারাও হিজবুল্লাহকে তাদের পূর্ণ সক্ষমতা দেখায়নি। যুদ্ধ শুরু হলে লেবাননও আরেকটি গাজায় পরিণত হবে।