বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি পুনঃনবায়নের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের সত্যতা নেই। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একথা বলেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি বলেন, গঙ্গা চুক্তি পুনর্নবায়নের বিষয়ে কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করেনি।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, মমতার এই দাবির সঙ্গে বাস্তবতা মিলছে না।
জয়সওয়াল বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তা তার (মমতার) বক্তব্যকে সমর্থন করে না। সব অংশীদারের সমন্বয়ে গঠিত (বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি সংক্রান্ত) অভ্যন্তরীণ কমিটির সব বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
‘এমনকি চলতি বছরের ৬ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার এটাও জানিয়েছে যে ২০২৬ সালে চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও তাদের সুপেয় পানি ও শিল্পের জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ২৪ জুন লেখা মমতার চিঠি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসব মন্তব্য করেন।
জয়সওয়াল বলেন, ‘গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের বিষয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।’
অবশ্য প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি কিছু জানাননি।
১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি সই হয়। চুক্তিটি ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার কথা। তবে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষে জানান, চুক্তিটি পুনঃনবায়নের জন্য দুই দেশ টেকনিক্যাল পর্যায়ে আলোচনা শুরু করবে।
এরপর মোদিকে লেখা চিঠিতে মমতা দাবি করেন, বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি পুনঃনবায়নের আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত একতরফা। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে না নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা না করার অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুদেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ভারতের রেল পরিচালনার বিষয়ে আলোচনার পর সমঝোতা স্মারক সই হয়। রেল পরিচালনায় কোনো চার্জ ধরা হয়েছে কিনা কিংবা নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, ‘এগুলো টেকনিক্যাল বিষয়। বিশেষজ্ঞরা এসব নিয়ে আলোচনার পর তা জানানো হবে।’