বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসরায়েলি ব্যাটালিয়নকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ২২:০৭

চিঠিতে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই হামাস বা অন্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তায় প্রভাব ফেলবে না।

গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এক ইসরায়েলি সেনা ব্যাটালিয়নের ওপর সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই সিদ্ধান্ত এখনই কার্যকর করতে চান না দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসনের কাছে লেখা ব্লিংকেনের এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শুক্রবার এপির হাতে আসা ওই চিঠিতে জনসনকে ব্লিংকেন বলেছেন, নিজেদের অন্যায় সংশোধনের জন্য তিনি ওই সামরিক ইউনিটটিকে (ব্যাটালিয়ন) আরও সময় দিতে চান।

চিঠিতে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই হামাস বা অন্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক সহায়তায় প্রভাব ফেলবে না।

চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ও গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ২৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা তহবিল প্রদানে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিল পাস করতে মাইক জনসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ইসরায়েলের ঠিক কোন সেনা ইউনিটের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্তটি আপাতত স্থগিত করছে, ব্লিংকেনের চিঠিতে তা স্পষ্ট করা হয়নি। তবে এপির প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে, ‘নেটজাহ ইয়েহুদা’ নামের একটি ইউনিট যুক্তরাষ্ট্রের কোপে পড়েছে। এই সেনা ইউনিটটি ঐতিহাসিকভাবে অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থান করে আসছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত সহায়তা স্থগিতের প্রাথমিক সিদ্ধান্তের ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ শুরুর আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ওই ইউনিট ও এর কিছু সদস্য ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর মানবিক আইনের অপব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে ২০২২ সালে ওই ইউনিটের হাতে আটক হওয়া এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান নাগরিকের নিহত হওয়ার ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।

চিঠিতে ব্লিংকেন বলেন, ‘ওই ব্যাটালিয়নের অন্যায়ের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকারও এখনও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে ইউনিটটির অবস্থা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত তারা আমাদের তথ্য দিয়ে চলেছে এবং আমরাও ব্যাটালিয়নটির সংশোধনী কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ ও তা করার (সংশোধনের) পথ চিহ্নিত করতে সর্বদা নিযুক্ত থাকব।’

আন্তর্জাতিক আইন বা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে একটি আইন পাস করে। ব্যাত্যয় ঘটলে ‘লেহি আইন’ নামের ওই আইনটি যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো বিদেশি সেনা ইউনিটকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে বাধ্য করে। তবে সেই দেশের সেনাবাহিনী যদি ওই ইউনিটের করা অপরাধের বিচার করে এবং তাদের সংশোধনের চেষ্টা করে, তাহলে তাদের ওপর এই আইন কার্যকর হবে না বলেও আইনটির একটি ধারায় উল্লেখ রয়েছে। ব্লিংকেন এই বিষয়টি উল্লেখ করেই মূলত এখনই সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্তে যেতে নারাজ।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিরাজমান। দুই বাহিনী নিয়মিত নিজেদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের আদান-প্রদান করে থাকে। তবে সম্প্রতি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবস্থান ও ইসরায়েলকে সহযোহিতা করায় সমালোচিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এরই ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের ব্যাপারে সম্প্রতি ইসরায়েলকে সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন জো বাইডেন। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে বেশ কয়েকটি উগ্রবাদী সেটেলারের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ বিভাগের আরো খবর