বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মালদ্বীপ থেকে ভারতের সেনা প্রত্যাহার শুরু

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১২ মার্চ, ২০২৪ ১৮:৫৪

মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের সম্মতিতে দেশটিতে ৮৯ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন করে ভারত। ভারত মহাসাগরে চীনের তৎপরতার ওপর নজরদারি করাই ছিল এই সেনা মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য।

ব্যাপক কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে অবশেষে মালদ্বীপ থেকে সৈন্য ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে ভারত। ১০ মার্চ ২৫ জন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে, বাকিদের মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগেই ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানা গেছে।

মালদ্বীপভিত্তিক দৈনিক মিহারুর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

দুপক্ষের সমঝোতা অনুসারে যদিও ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার শুরুর কথা ছিল আগামী ১০ মে। কিন্তু তার আগেই সৈন্যদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে নয়াদিল্লি।

ভারত মহাসাগরের পূর্ব-পশ্চিম শিপিং রুটের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের প্রভাব বজায় রেখেছিল ভারত।

মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের সম্মতিতে দেশটিতে ৮৯ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন করে ভারত। ভারত মহাসাগরে চীনের তৎপরতার ওপর নজরদারি করাই ছিল এই সেনা মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য।

মালদ্বীপকে তার সমুদ্রসীমা পর্যবেক্ষণে দুটি হেলিকপ্টার ও একটি প্লেন দিয়েছিল ভারত। সেগুলো পরিচালনায় সাহায্য করতেই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে ৮৯ জন সেনা পাঠায় নয়াদিল্লি।

এর পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচি, মালদ্বীপের জনবসতিপূর্ণ দ্বীপগুলোতে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেয়ার কাজও কছিলেন ওই সেনারা।

কিন্তু ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতি মালদ্বীপের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলেন দেশটির অন্যতম নেতা ও চীনপন্থী রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ মুইজ্জু। এরপর গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মালদ্বীপ থেকে নিজ সেনা সদস্যদের ফিরিতে নিতে ভারতকে আহ্বান জানান তিনি।

সেই সঙ্গে সময়সীমা বেঁধে দেন যে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ভারতকে তার সব সেনা মালদ্বীপ থেকে ফিরিয়ে নিতে হবে। পরে এ বিষয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই সময়সীমা ১০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করেন তিনি।

ভারত মহাসাগর অঞ্চলে কৌশলগত দিক থেকে নয়াদিল্লির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল মালদ্বীপ। তবে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে একদিকে এই সম্পর্কে শীতলতা এসেছে, অন্যদিকে বেড়েছে এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির সম্ভাবনা।

গত জানুয়ারিতে চীন সফরে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ মুইজ্জু। সেখানে বেইজিংয়ের সঙ্গে মালদ্বীপের অবকাঠামো, জ্বালানি, সমুদ্র গবেষণা ও কৃষি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষ করে এসেছেন তিনি।

অন্যদিকে ভারত গত মাসে ঘোষণা দিয়েছে এখন থেকে নিজেদের লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চলে নৌবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করবে দেশটি।

মালদ্বীপ থেকে লাক্ষাদ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১৩০ কিলোমিটার।

মালদ্বীপ বা ভারতের কর্তৃপক্ষগুলো থেকে এখন পর্যন্ত সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাওয়া যায়নি। তবে মিহারু দাবি করেছে, মালদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর