ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র হাইতিতে সপ্তাহান্তে গ্যাং নেতৃত্বাধীন ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে দেশটির দুই কারাগারে হামলার ঘটনায় হাইতিতে জরুরি অবস্থা ও কারফিউ জারি করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় এ ব্যবস্থা নেয় হাইতি সরকার।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ৭২ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়। এ সময়ে হত্যাকারী, অপহরণকারী ও অন্যান্য সহিংস অপরাধীদের ধরা হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
হাইতির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী প্যাটট্রিক বয়সভার্ট এক বিবৃতিতে বলেন, কারফিউ কার্যকরের পাশাপাশি সব অপরাধীকে ধরতে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে পুলিশকে।
অন্যদিকে হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি রয়েছেন বিদেশে, যিনি ক্যারিবীয় রাষ্ট্রটিকে স্থিতিশীল করতে জাতিসংঘ-সমর্থিত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনে বিভিন্ন দেশের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
হাইতির সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা জিমি চেরিজিয়ারের (যিনি বারবিকিউ হিসেবে পরিচিত) নেতৃত্বাধীন গ্যাংগুলো হেনরিকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে চাইছে।
ন্যাশনাল নেটওয়ার্ক ফর ডিফেন্স অফ হিউম্যান রাইটসের পিয়েরে এস্পেরেন্স বলেছেন, শনিবার রাতের হামলায় হাইতির রাজধানী পোর্ট অফ প্রিন্সে অবস্থিত ন্যাশনাল পেনিটেনশিয়ারির আনুমানিক তিন হাজার ৮০০ বন্দির মধ্যে প্রায় ১০০ জন কারাগারে রয়েছে। বাকিরা পালিয়েছে বা নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক বন্দির মরদেহ গণনা করেছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদক জানান, তিনি রোববার কারাগারটি পরিদর্শন করেছেন। তার ভাষ্য, কারাগারের বাইরে প্রায় ১২টি মরদেহ ছিল। কারাগারটির ফটক খোলা ছিল এবং সেখানে বন্দি নেই বললেই চলে।