বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ জুন, ২০২৫ ২১:১১

ইরানের ইসফাহানে অবস্থিত একটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসফাহান গভর্নরের ডেপুটি সিকিউরিটি অফিসার আকবর সালেহি বলেছেন, গতকাল শনিবার সকালে ইসফাহানের কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, এর মধ্যে একটি পারমাণবিক স্থাপনাও রয়েছে। খবর বিবিসির। সালেহি বলেন, হামলার পর সেখান থেকে ধোঁয়া ওঠতে দেখা গেছে। তবে কোনো ক্ষতিকর পদার্থের গ্যাস বা তরল নির্গমন ঘটেনি। তিনি আরও বলেন, ইসফাহান রিফাইনারি (পরিশোধনাগার) ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্য ছিল না। ইসফাহান, লাঞ্জান, মোবারাকে ও শাহরেজা শহরের কিছু এলাকা ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। আকবর সালেহি বলেন, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে কিছু এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের

ইরান নতুন করে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইরানের বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ এই খবর নিশ্চিত করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাও জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে যে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আটকানোর চেষ্টা করছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গোলান মালভূমিতে ইরানের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখন ঘোষণা করেছে, বেইত শেআন উপত্যকা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তরে সাইরেন বাজানোর পর তারা আরেকটি ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এ থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল শনিবার ইসরায়েলি বিমানবাহিনী জানিয়েছে যে, মধ্য ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ এবং উৎক্ষেপণের বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিমান হামলা চালিয়েছে। দুদেশের মধ্যে নয় দিন ধরে সংঘাত চলছে। ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, তারা মধ্য ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ এবং উৎক্ষেপণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

ইরানি হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের দৈনিক ব্যয় ২০০ মিলিয়ন ডলার

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে দৈনিক প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ইসরায়েল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং অন্যান্য পশ্চিমা ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিপুল খরচের বড় অংশ ব্যয় হচ্ছে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো চালাতে, যা প্রতিনিয়ত ইরানের লাগাতার হামলা ঠেকাতে সংগ্রাম করছে। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, শুধু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করতেই ইসরায়েলের প্রতিদিন প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে। এদিকে ইরানি হামলার অর্থনৈতিক প্রভাব ইতোমধ্যেই দখলকৃত ফিলিস্তিনি শহরগুলোয় দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েলি সংবাদপত্র মারিভ বলছে, তেলআবিবে অর্ধেকের বেশি দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজার এলাকাগুলো ফাঁকা ও নিস্তব্ধ, জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিশ্লেষকদের মতে, এই আর্থিক চাপ এবং নাগরিক জীবনে বিপর্যয় ইসরায়েলি সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ আরও বাড়িয়ে তুলছে। পরিস্থিতি যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণ তত দ্রুত বাড়ছে।

ইসরায়েলের বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দর ও সামরিক দপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলের বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দর ও সামরিক দপ্তর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। গতকাল শনিবার সকালে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডবাহিনী (আইআরজিসি) এ ঘোষণা দিয়েছে। আইআরজিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দর ও কিছু সামরিক সদর দপ্তরকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল-অধিকৃত ফিলিস্তিনের অঞ্চলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। গতকাল ভোরে আইআরজিসি ঘোষণা দিয়েছে, তারা ট্রু প্রমিজ অপারেশন-৩ এর ১৮তম পর্যায় শুরু করেছে। এতে ‘শাহেদ ১৩৬’- এর মতো অসংখ্য আত্মঘাতী এবং যুদ্ধ ড্রোন, পাশাপাশি নির্ভুল কঠিন জ্বালানি এবং তরল জ্বালানি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। বিবৃতি অনুযায়ী, আইআরজিসি বেন-গুরিওন বিমানবন্দর এবং সামরিক অপারেশনাল লজিস্টিক সেন্টারগুলোতে পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুগুলো সফলভাবে ধ্বংস করেছে। সরকারের অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইরানি ড্রোনগুলো বাঁধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। হামলার কারণে ইসরায়েলিরা আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলায় ১০টির মধ্যে ৫টি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এর মধ্যে বন্দরনগরী হাইফাতে আঘাত হানা এক ক্ষেপণাস্ত্রে ৩ জন আহত হয়েছেন বলেও স্বীকার করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এদিকে ইরান ও ইসরায়েল সংঘাত বন্ধের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় কূটনৈতিক বৈঠকে বসেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এবং ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কাজা ক্যালাস বলেন, আঞ্চলিক উত্তেজনা কারও জন্যই লাভজনক নয়, তাই আমাদের আলোচনার সুযোগ খোলা রাখা উচিত।

এ বিভাগের আরো খবর