বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুসলিম বিয়ে ও তালাক আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত আসামের

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১১:১৯

পর্যটনমন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বড়ুয়ার দাবি, ১৯৩৫ সালের মুসলিম বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন আইনের আওতায় আইনিভাবে নির্দিষ্ট বিয়ের বয়সের আগেই তরুণ-তরুণীদের বিয়ে দেয়া হচ্ছিল। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ওই আইনটি বাতিল করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি বাল্যবিয়ের সংখ্যা কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে।

ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের মাধ্যমে প্রায় ৯০ বছরের পুরোনো মুসলিম বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের আসাম সরকার।

১৯৩৫ সালের এ আইন বাতিলের সিদ্ধান্তে শুক্রবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

ভারতের স্বাধীনতার পর দেশটির প্রথম রাজ্য হিসেবে কিছুদিন আগে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড পাস করিয়ে নেয় উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। আসামের এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের দিকে বিজেপি সরকার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর শুক্রবার আসামের পর্যটনমন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করবে আসাম। আর ১৯৩৫ সালের মুসলিম বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন আইন বাতিল করে দিয়ে সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হল।’

তিনি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের ফলে এবার থেকে আসামে আর মুসলিমদের বিয়ে এবং ডিভোর্সের বিষয়টি এ আইনের মাধ্যমে নথিভুক্ত করা যাবে না। আমাদের ইতোমধ্যে একটি স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট আছে; আমরা চাই যে সেই আইনের আওতায় সব বিয়ে নথিভুক্ত হোক।’

পর্যটনমন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বড়ুয়ার দাবি, ১৯৩৫ সালের মুসলিম বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন আইনের আওতায় আইনিভাবে নির্দিষ্ট বিয়ের বয়সের আগেই তরুণ-তরুণীদের বিয়ে দেয়া হচ্ছিল। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ওই আইনটি বাতিল করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি বাল্যবিয়ের সংখ্যা কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে।

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড হচ্ছে ভারতে নাগরিকদের ব্যক্তিগত আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রস্তাব, যা সব নাগরিকের ক্ষেত্রে তাদের ধর্ম নির্বিশেষে সমানভাবে প্রযোজ্য হবে।

এ বিভাগের আরো খবর