বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাকিস্তানে ১৭১ আসনের ৭৪টিতে জয়ী ইমরান সমর্থিতরা

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের তথ্যানুযায়ী, দেশটির তিনবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রার্থীরা পেয়েছেন ৫০ আসন। এছাড়া পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা ৪০টি আসনে জয়লাভ করেছেন।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ১৭১টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। এর মধ্যে ৭৪টি আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, যাদের বেশির ভাগই কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সমর্থিত।

পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সংবাদমাধ্যমটির তথ্যানুযায়ী, দেশটির তিনবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রার্থীরা পেয়েছেন ৫০ আসন। এছাড়া পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থীরা ৪০টি আসনে জয়লাভ করেছেন।

তবে জিও নিউজে প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফল অনুসারে, পাকিস্তানের ভোটগ্রহণ করা মোট ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫১ আসনের ফল ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্যে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০৬ আসন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নওয়াজের দল পিএমএল-এন-এর প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬৭ আসন। আর বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির দখলে গেছে ৫১টি আসন।

ফলে পিটিআইয়ের নেতৃত্বেই জোট সরকার গঠনের দিকে যাচ্ছে পাকিস্তান, এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

জঙ্গি হামলার বাড়বাড়ন্ত, অর্থনৈতিক সংকট ও ব্যাপক রাজনৈতিক মেরুকরণের মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোট দেন পাকিস্তানের নাগরিকরা। শুরুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম নওয়াজ শরিফের দল সরকার গঠন করবে বলে পূর্বাভাস দিলেও ভোট গণনা শুরুর পর মধ্যরাত থেকে পাল্টে যেতে থাকে চিত্র। এখন পর্যন্ত এ ভোটে সুস্পষ্ট কোনো বিজয়ী দেখছেন না বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক প্রার্থী নিহত হওয়ার পর একটি আসনে আগেই ভোট স্থগিত করে দেশটির নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৬৫ আসনের ভোটের ফলাফল দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন পাকিস্তানিরাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের রাজনীতিপ্রিয় মানুষ।

কোনো দল এককভাবে পাকিস্তানের সরকার গঠন করতে চাইলে এবার ১৩৪টি আসনে জিততে হবে। ভোটের ফল আসার পর থেকে এই নির্বাচনে কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না বলে ধারণা করছেন কূটনীতিক বিশ্লেষকেরা।

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনও চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করতে পারেনি ইসিপি। দেশটির ইতিহাসে এত দেরিতে ফল ঘোষণার নজির এর আগে আর নেই।

এ বিষয়ে ইসিপির বিশেষ সচিব জাফর ইকবাল রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ইন্টারনেট ইস্যুতে ফল ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে।’ তবে তার এ মন্তব্যের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের দিন দেশজুড়ে মোবাইল ফোন সেবা বন্ধ রাখা হয়। পাকিস্তানের অনেক অঞ্চলে ইন্টারনেটে ধীরগতি, এমনকি সেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকার খবরও জানা গিয়েছিল।

এ বিষয়ে দেশটির সরকোর জানায়, নিরাপত্তার স্বার্থে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে শুক্রবার থেকে মোবাইল ফোন সেবা চালু করা হয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার ভোটের দিন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় বসার পরিকল্পনার কথা জানান নওয়াজ শরিফ। ওইদিন লাহোরে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জোট সরকারের কথা বলবেন না। একটি সরকারের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ... অন্যের ওপর নির্ভর করে থাকা উচিত হবে না।’

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকা নওয়াজকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সমর্থন দিচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের অনেকেরই। পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তানের ইতিহাসে বেশির ভাগ সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশ শাসন করেছে সেনা-সমর্থিত সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর