বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না’ লেখা ভবানীপ্রসাদ মারা গেছেন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১১:৫৫

প্রধানত ছোটদের জন্যই লিখতেন তিনি। কিন্তু মজার মজার লেখনীতে সবাইকে মুগ্ধ করার পাশাপাশি ভবানীপ্রসাদের লেখায় থাকত সামাজিক স্যাটায়ার। ‘বাংলাটা ঠিক আসে না’ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

‘জানেন দাদা, আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না’- সুপরিচিত এই ছড়াটির লেখক বিখ্যাত ভারতীয় ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদার মারা গেছেন।

মঙ্গলবার গভীর রাতে ৭০ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে সংবাদ প্রতিদিন।

প্রধানত ছোটদের জন্যই লিখতেন তিনি। কিন্তু মজার মজার লেখনীতে সবাইকে মুগ্ধ করার পাশাপাশি ভবানীপ্রসাদের লেখায় থাকত সামাজিক স্যাটায়ার। ‘বাংলাটা ঠিক আসে না’ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

সারা জীবনে ভবানীপ্রসাদ লিখেছেন ২০ হাজারের বেশি ছড়া। করেছেন নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ‘মজার ছড়া’, ‘সোনালী ছড়া’, ‘কোলকাতা তোর খোল খাতা’, ‘হাওড়া-ভরা হরেক ছড়া’, ‘ডাইনোছড়া’র মতো একাধিক বই লিখেছেন তিনি। সত্যজিৎ রায় ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে লিখেছেন ‘ছড়ায় ছড়ায় সত্যজিৎ’ এবং ‘রবীন্দ্রনাথ নইলে অনাথ’।

১৯৫৩ সালের ৯ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার জগাছা থানার দাশনগরের কাছে দক্ষিণ শানপুর গ্রামে জন্ম ভবানীপ্রসাদের। বাবা নারায়ণচন্দ্র মজুমদার ও মা নিরুপমা দেবী। পেশায় ছিলেন শিক্ষক। পড়াতেন শানপুরের কালিতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে এই বিদ্যালয়েরই প্রধান শিক্ষকের পদে নিযুক্ত হন। আর সেই সঙ্গেই চালিয়ে গিয়েছেন লেখালেখি। সেজন্য রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। এ ছাড়াও পেয়েছেন ‘শিশুসাহিত্য পরিষদ পুরস্কার’, ‘অভিজ্ঞান স্মারক’, ‘ছড়া সাহিত্য পুরস্কার’-সহ একশোর বেশি পুরস্কার।

অসংখ্য লেখার মধ্যে থেকে আলাদাভাবে উল্লেখযোগ্য তার বিখ্যাত দুটি ছড়া ‘আ-মরি বাংলাভাষা’ ও ‘বাংলাটা ঠিক আসে না’। সেই অর্থে ছড়ার পাঠক নন যারা, তারাও কমবেশি পরিচিত এই ছড়াগুলোর সঙ্গে। বিশেষত দ্বিতীয়টি।

ইংরেজি মাধ্যমের পড়ুয়াদের বাংলা ভাষা শেখানোর বিষয়ে অভিভাবকদের অবহেলার যে বাস্তব চিত্র তিনি তুলে ধরেছিলেন তা আপাতভাবে মজার আড়ালে ব্যঙ্গের সপাট চাবুক হয়ে আছড়ে পড়েছিল বাঙালির মননে।

এ বিভাগের আরো খবর