ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার একটি ইউশিন আইএল-৭৬ সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় বিমানটির ভেতরে থাকা ৬৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া।
বুধবার রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা আরআইএ।
রাশিয়ার দাবি, বিমানটিতে রুশ বাহিনীর হাতে বন্দী হওয়া ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ৬৫ জন সদস্য, ছয়জন ক্রু এবং যুদ্ধবন্দীদের পাহারায় নিয়োজিত তিনজন ছিলেন। তবে ইউক্রেনের একটি ইংরেজি পত্রিকার দাবি, ওই বিমান ইউক্রেনের সেনারা ভূপাতিত করেছে এবং সেটিতে ইউক্রেনের কোনো বন্দি ছিল না।
রাশিয়ার বার্তাসংস্থা আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, বিমানটিতে রুশ বাহিনীর হাতে বন্দি ইউক্রেনীয় সেনারা ছিলেন। যাদের বন্দি বিনিময়ের জন্য বেলগোরোদে নিয়ে আসা হচ্ছিল।
বেলগোরোদের আঞ্চলিক গভর্নর ভায়াচেসলাভ গ্লাদকোভ জানিয়েছেন, তিনি বিমান দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং ঘটনাস্থলে গেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, সেখানে উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে। বিমান বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধান চলছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে ইয়াবলোনোভো গ্রামে একটি বিমান খাড়াভাবে আছড়ে পড়ছে। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ জানিয়েছেন, তারা বিমান বিধ্বস্তের ব্যাপারে জানতে পেরেছেন। তবে তিনিও বিস্তারিত কোনো কিছু জানাননি।
আইএল-৭৬ বিমানটি তৈরি করা হয়েছে সেনা, কার্গো, সামরিক সরঞ্জাম এবং অস্ত্র পরিবহণের জন্য। বিমানটিতে সাধারণত পাঁচজন ক্রু থাকেন এবং এটি সর্বোচ্চ ৯০ জন যাত্রী বহন করতে পারে।
রুশ বার্তাসংস্থা আরআইএ নভোস্তি আরও জানিয়েছে, বিমানটিতে ৬৫ জন যুদ্ধবন্দি ছাড়াও ৯ জন অন্য যাত্রী ছিলেন। যাদের মধ্যে ছয়জন ছিলেন ক্রু।