সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কূটনৈতিক এলাকার একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) গোয়েন্দা শাখার প্রধানসহ জ্যেষ্ঠ চার কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সানার বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার দামেস্কের মাজেহ এলাকায় হামলাটি চালানো হয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অন্তত চারটি ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় চারতলা ভবনটি সম্পূর্ণরূপে ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে। ঘটনার পর একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও খবরে জানানো হয়।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ওই ভবনে আইআরজিসির ইনটেলিজেন্স (গোয়েন্দা) ইউনিটের প্রধান ও তার সহকারীরা ছিলেন। মূলত তাদের টার্গেট করেই ভবনটিতে হামলা করা হয়।
হামলার পর এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে আইআরজিসি বলেছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি সেনা এবং ফিলিস্তিনে নিযুক্ত আইআরজিসির চারজন সামরিক উপদেষ্টা নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- হোজ্জাতুল্লাহ ওমিদভার, আলী আগাজাদেহ, হোসেন মোহাম্মদী এবং সাইদ করিমি।
চার কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করলেও তাদের র্যাঙ্ক নিয়ে কিছু জানায়নি সংগঠনটি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ ঘটনাকে ইসরায়েলের ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছে। তবে দেশটির সরকারের তরফ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য আসেনি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের বিমান হামলার পর ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। ইসরায়েলের হামলায় উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ২৫ হাজার ছুঁই ছুঁই করছে।
হামাসের সশস্ত্র বাহিনীকে সহযোগিতা করার দায়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে ইরানের এলিট বাহিনী আইআরজিসির ইন্টেলিজেন্স ফোর্সের কর্মকর্তারা। সিরিয়ায় তাদের অবস্থান শনাক্ত করে একের পর এক হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত ২৫ ডিসেম্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় অবস্থানরত আইআরজিসি উপদেষ্টা জেনারেল সাইয়েদ রাজি মুসাভি নিহত হন।
ইসরায়েল এসব ঘটনার দায় স্বীকার করে না বললেই চলে। তবে শুরু থেকেই তারা বলে আসছে, সিরিয়ায় সামরিক সমর্থন দেয়ায় ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো মিত্র গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটি তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
এ মাসের শুরুর দিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার সালেহ আল-আরোরি নিহত হন।