চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার ২৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর গুলিতে ১৪ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ৩৯ জনকে হতাহত করার আগে চেক প্রজাতন্ত্রের ওই শিক্ষার্থী তার বাবাকে গুলি করে হত্যা করেন। বন্দুকধারী সম্ভবত নিজের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, বন্দুক হামলার ঘটনাটি চেক প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক।
হামলার পর মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেন চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট পিতর পাভেল। সেই বৈঠক থেকে হতাহতদের স্মরণে ২৩ ডিসেম্বর মধ্য ইউরোপের দেশটিতে এক দিনের শোক ঘোষণা করা হয়।
প্রেসিডেন্ট পাভেল বলেন, ‘এত তরুণের অহেতুক প্রাণহানির ঘটনায় আমি তীব্র শোকের পাশাপাশি অসহায় ক্ষোভ প্রকাশ করব।’
প্রাগ চার্লস ইউনিভার্সিটির যে ভবনে বন্দুক হামলা চালানো হয়, সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের সন্ধান পায় পুলিশ।
এর আগে বন্দুকধারী প্রাগের বাইরে নিজ শহর ক্লাদনো অঞ্চল থেকে রাজধানীর দিকে আত্মহত্যার জন্য যাচ্ছেন বলে খবর পায় পুলিশ। ওই খবরের কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্দুকধারীর বাবাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
চেক প্রজাতন্ত্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিত রাকুসান জানান, বন্দুক হামলার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের যোগসূত্র নেই।