বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাজা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট ফের স্থগিত

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২৩:৫৯

ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের ৭০ ভাগই নারী ও শিশু। তবে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে নিহতদের গণনার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভোট তৃতীয়বারের মতো স্থগিত হয়ে গেছে। স্থানীয় সময় বুধবার এই ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর আগে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা এবং সোমবার প্রথম দফায় নিরাপত্তা পরিষদের ভোট স্থগিত হয়।

এদিকে সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় এক সপ্তাহ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাস প্রত্যাখ্যান করেছে।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার গাজায় ফিলিস্তিনিদের হামলায় আরও ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।

আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার কাউন্সিলের ১৫ সদস্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এই প্রস্তাবে ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের খসড়া প্রস্তাবটিতে নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্নভাবে মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি এবং টেকসইভাবে এই সংঘাত বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবটিতে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সংঘাতে জড়িত সব পক্ষকে অবশ্যই তাদের সীমা মেনে চলতে হবে। সে সঙ্গে জাতিসংঘের একটি পর্যবেক্ষক ব্যবস্থা দ্রুত মোতায়েন করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া এই সংঘাতে আহত হয়েছে আরও ৫২ হাজার ৫৮৬ জন।

ইসরায়েলের আক্রমণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এ হামলায় উপকূলীয় অঞ্চলের অর্ধেক হাউজিং স্টক ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ঘনবসতিপূর্ণ এই অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তারা খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটের মধ্যে রয়েছে।

ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের দাবি, হামাসের হামলায় দেশটির প্রায় এক হাজার ২০০ নাগরিক নিহত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আরও ১৩০ জনের বেশি মানুষ এখনও হামাস যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি রয়েছে।

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের

মিসরের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাতে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, কয়েক ডজন জিম্মির মুক্তির বদলে হামাসকে ‘এক সপ্তাহ’ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। তবে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে সশস্ত্র এই গোষ্ঠী। তারা জানিয়েছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে না।

বুধবার হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া মিসরে যান। সেখানে মিসরের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পৌঁছানো নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

হামাসের পলিটব্যুরোর সদস্য গাজী হামাদ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে জানান, তারা এবার আর কোনো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন না। তার দাবি, অস্থায়ী বিরতির মাধ্যমে জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় আবারও গণহত্যা শুরু করবে।

আরও ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

গাজায় ফিলিস্তিনিদের হামলায় আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও আট ইসরায়েলি সেনা ওই হামলায় আহত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে নতুন করে সৃষ্ট সংঘর্ষে আরও দুই কর্মকর্তা ও একজন সৈন্য নিহত হয়েছে। ওই সময় ফিলিস্তিনিদের হামলায় আরও আট ইসরায়েলি সেনা আহত হয়।

৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি যুদ্ধে ৪৬৯ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। একটি সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট ইয়াকভ ইলিয়ান ও ওমরি শোয়ার্জ এবং সার্জেন্ট লাভি গাসি দক্ষিণ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন।

হামাস পরিচালিত গাজার সরকার বলছে, ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ ভাগ নারী ও শিশু।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক ইমার্জেন্সি ডিরেক্টর রিচার্ড ব্রেনান জানিয়েছেন, তিনি এ তথ্যকে বিশ্বাসযোগ্যই মনে করেন।

যুদ্ধক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা নির্ধারণ একটি কঠিন বিষয় এবং গাজা শহরের চিকিৎসকরা বলছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ যাদের হাসপাতালে নেয়া যায়নি বা যারা ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন, তাদেরকে গণনায় আনা সম্ভব হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর