গাজায় অভিযানের সময় ভুলবশত নিজেদের তিন জিম্মিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এ দুর্ঘটনার জন্য ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে।
বিবিসির শনিবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার গাজার উত্তরে শেজাইয়াতে কর্মরত সেনারা তিনজন জিম্মিকে গুলি করেছেন। জিম্মিদের হুমকি মনে করে তারা ভুলে এ হামলা চালান।
প্রাণ হারানো তিনজন হলেন ২৮ বছর বয়সী ইয়োতাম হাইম, ২২ বছর বয়সী সামের তালালকা এবং ২৬ বছর বয়সী অ্যালন শামরিজ।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানায়, শুক্রবারের ঘটনাটি ‘মর্মান্তিক’ ও আইডিএফ এ দুর্ঘটনার জন্য গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করছে ও নিহতের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানায়।
এদিকে হোয়াইট হাউস ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক ভুল’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তিনজনের মরদেহ ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, যেখানে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়।
এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক।
এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন। এই সাত দিনে হামাস ১১০ জনকে এবং ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জনকে। আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি।