পাকিস্তান ধারাবাহিকভাবে অস্বীকার করার মধ্যেই এবার ইউক্রেনের কাছে দেশটির অস্ত্র বিক্রির তথ্য দিয়েছে সংবাদমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি)।
বিবিসির উর্দু ভার্সনের এক প্রতিবেদনে ওই দাবি তোলা হয়েছে সোমবার। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, তাদের কাছে যে নথি আছে তাতে বিষয়টি স্পষ্ট।
প্রতিবেদন বলছে, নগদ অর্থ সংকটে পড়া পাকিস্তান গত বছর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে থাকা ইউক্রেনকে গোলাবারুদ সরবরাহ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে একটি অস্ত্র চুক্তি করে ৩৬৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
ইসলামাবাদ অবশ্য ক্রমাগত অস্বীকার করে আসছে বিষয়টি। তারা বলছে, তারা রোমানিয়ার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনকে কোনো গোলাবারুদ সরবরাহ করেনি।
প্রতিবেদন বলছে, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) কামার জাভেদ বাজওয়া, ২০২২ সালের ১২ আগস্ট ব্রিটিশ রয়্যাল মিলিটারি একাডেমির পাসিং-আউট প্যারেডে ভাষণ দিয়েছিলেন। পাকিস্তান-যুক্তরাজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য তিনি অবসরে যান।
একটি ব্রিটিশ সামরিক কার্গো বিমান তখন রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান বিমান বাহিনী ঘাঁটি নুর খানে অবতরণ করেছিল। প্রতিবেদন অনুসারে, বিমানটির যাত্রা একই রুটে ছিল। এটি নুর খান এয়ারবেস থেকে সাইপ্রাসের ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটি, আক্রোতিরি এবং তারপর যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের জন্য মোট পাঁচবার রোমানিয়ায় গিয়েছে।
অর্থনেতিকসহ নানা সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। এর সঙ্গে দেশটিতে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতাও। এ অবস্থার মধ্যেই ইউক্রেনের সঙ্গে অস্ত্র ব্যবসায় জড়িয়েছে দেশটি।
এদিকে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই রুশ সেনারা ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন।
দেশটিকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন দিয়ে আসছে শুরু থেকে। ইউক্রেনের পক্ষে রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এসব দেশ। এ ছাড়া ইউক্রেনে অস্ত্রও পাঠিয়েছে কোনো কোনো দেশ।