যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তর গাজায় এখন মাত্র একটি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা চালু আছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
স্থানীয় সময় সোমবার আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালটি ছাড়া বাকি সব হাসপাতাল জ্বালানিসহ নানা সংকটে বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে রোগীদের।
সিএনএন বলছে, ইসরায়েলিরা ওই এলাকায় হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যেও চিকিৎসাকর্মীরা শিশুসহ রোগীদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য লড়াই করছেন।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, গাজা সিটি এবং উত্তর গাজার একটি হাসপাতাল ছাড়া সব হাসপাতালের আশেপাশে বোমাবর্ষণ এবং যুদ্ধের কারণে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, অক্সিজেন, খাদ্য এবং পানির অভাবে সেবা বন্ধ রয়েছে।
ওসিএইচএ বলছে, উত্তর গাজার প্রায় ৩০টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মধ্যে শুধু একটি হাসপাতালেই এখন চিকিৎসা সুবিধা নেয়া যাচ্ছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজার হাসপাতাল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সোমবার তিনি বলেন, ঠিক আছে, আপনারা জানেন, যা ঘটছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে ইচ্ছুক না আমি। তবে আমার আশা, হাসপাতালের ব্যাপারটি দেখতে হবে। হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে।
এদিকে ইসরায়েল বারবার দাবি করছে, আল-শিফা হাসপাতালের নিচে একটি হামাস কমান্ড সেন্টার রয়েছে। তবে হামাস এবং হাসপাতালের কর্মকর্তারা বিয়ষটি অস্বীকার করেছেন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা তাদের আক্রমণের আগে উত্তর গাজারর হাসপাতালগুলো খালি করার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু আল-শিফার স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেছেন, এটা তারা মানবেন না। কারণ সেখানে অনেক রোগী আছেন। যার মধ্যে অন্তত ৭০০ জন চিকিৎসা না পেয়ে মারা যেতে পারেন।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সম্প্রতি মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়। তবে জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েল অনুমতি না দেয়ায় ভয়াবহ বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে গাজা।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করছে গাজায়।