ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকতার দ্বিতীয় বৃহত্তম আল-কুদস হাসপাতালে জ্বালানির মজুত ফুরিয়ে গেছে, এতে হাসপাতালটির সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ অবস্থায় চিকিৎসাকর্মীরা এখনও বিদ্যুৎ ছাড়াই রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) বরাতে রোববার জানিয়েছে বিবিসি।
পিআরসিএস বিবৃতি দিয়ে বলেছে, মানবিক পরিস্থিতি এবং চিকিৎসার ভয়াবহ অবস্থা। খাদ্য এবং পানির অভাবের মধ্যে আছে আল-কুদস হাসপাতাল।
টুইটারে দেয়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাসপাতালটির এমন সংকটে চিকিৎসাকর্মী, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।
আল-কুদস হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, চলমান সামরিক অভিযান সম্পর্কিত নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। তবে হাসপাতালগুলোতে সেবা নিয়ে বাধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছ তারা।
এর আগে গত অক্টোবরের শেষ দিকে আল-কুদস হাসপাতাল খালি করতে বলেছিল ইসরায়েল। গাজার রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
তখন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছিল, হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) অনেক রোগী আছেন। অনেক শিশুকে ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে। তাদের অন্যত্র স্থানান্তর করা সম্ভব নয়। আল-কুদস হাসপাতাল গাজার একমাত্র হাসপাতাল, যেখানে ক্যানসারের চিকিৎসার সুবিধা রয়েছে।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সম্প্রতি মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকতায়। তবে জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েল অনুমতি না দেয়ায় ভয়াবহ বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে গাজা।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করছে গাজায়।