ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত ও আটকে পড়া ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ঢোকার অপেক্ষায় আছে খাবার, পানি ও ওষুধের কয়েকটি ট্রাক।
গাজা-মিশর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিংয়ে অপেক্ষায় থাকা ওই ট্রাকগুলো কিছু সময়ের মধ্যেই হয়তো ঢুকতে পারবে, তবে সংশয় রয়েছে ওই ট্রাকের সঙ্গে যে ট্রাকগুলোতে জ্বালানি বহন করা হচ্ছে সেগুলোর ঢোকা নিয়ে।
রোববার বিবিসির সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, মানবিক সহায়তা নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা হওয়া কয়েকটি ট্রাক সীমান্তে অপেক্ষা করছে। এগুলো নিয়ে যাচ্ছেন মিশরের রেড ক্রিসেন্টের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকরা।
তারা বলছেন, পরিস্থতি দেখে বোঝা যাচ্ছে খাবারের ট্রাকগুলো হয়তো গাজায় ঢুকবে। তবে জ্বালানির ট্রাকগুলো সেখানে ঢুকতে পারবে না।
গাজায় এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার জ্বালানি। হাসপাতালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা সেবা ঠিক রাখতে এর বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। তবে এ নিয়ে ইতিবাচক কোনো ইঙ্গিত মেলেনি ইসরায়েলের পক্ষ থেকে।
আগের দিন শনিবার দুপুরে প্রথমবারের মতো খাবার, পানি ও ওষুধ নিয়ে ট্রাক ঢোকে গাজায়। এদিন রাফাহ ক্রসিং দিয়ে মানবিক সহায়তার প্রথম ট্রাকটি ঢোকে। পরে আরও কয়েকটি ট্রাক ঢোকে গাজায়।
গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে ওই এলাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। খাবারসহ নিত্যপণ্যের অভাবের পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগও।
এ অবস্থায় কদিন ধরেই গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর সুযোগ দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে বিভিন্ন দেশসহ নানা মানবাধিকার সংগঠন। এরই প্রতিক্রিয়ায় শুরুতে খাবার, পানি ও ওষধু নিয়ে ২০টি ট্রাক গাজায় ঢুকতে অনুমতি দেয় ইসরায়েল। তবে জ্বালানি নিয়ে ওই এলাকায় যাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে দেশটি।
ইসরায়েলে ঢুকে গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় দুই সপ্তাহ ধরে চালানো ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহত হয়েছে চার হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের ৪০ শতাংশই শিশু। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিজয় না আসা পর্যন্ত গাজায় হামলা চালাবে ইসরায়েল।
ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজার সীমান্তের বড় অংশই ইসরায়েলের সঙ্গে, বাকিটা মিশরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করছে গাজায়।