ইসরায়েলে ঢুকে ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের গত ৭ অক্টোবরের প্রাণঘাতী হামলার প্রতিক্রিয়ায় উপত্যকায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলি হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না হাসপাতাল, স্কুলের মতো বেসামরিক স্থাপনাও। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েল হামলা চালায় গাজার প্রাচীনতম গির্জা চার্চ অফ সেন্ট পরফিরিয়াসে।
বেসামরিক ও ধর্মীয় স্থাপনায় এসব হামলা নিয়ে বিভিন্ন মহলের ক্ষোভ ও আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে শনিবার গভীর রাতে দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী ক্যাম্পের এক মসজিদে হামলা চালায় ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আল জাজিরা রোববার জানায়, মুসলিমদের পবিত্র স্থানে ইসরায়েলের ওই হামলায় কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, আল-আনসার মসজিদে হামলায় হামাস ও ইসলামিক জিহাদের কয়েকজন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হন, যারা হামলা পরিকল্পনার জন্য কমান্ড সেন্টার হিসেবে মসজিদটি ব্যবহার করে আসছিলেন।
দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা জানান, যারা নিহত হয়েছেন, তারা ‘আসন্ন’ একটি হামলার পরিকল্পনা করছিলেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলাতেও তারা জড়িত ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায়, হামলায় মসজিদের বাইরের অংশে ব্যাপক ক্ষতি হয়। হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান চিকিৎসকরা।
ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যায়।
জেনিনে দায়িত্বরত রেড ক্রিসেন্টের পরিচালক মাহমুদ আল-সাদির বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলায় একজন নিহত ও তিনজন আহত হন।
এর আগে ফিলিস্তিনের চিকিৎসকরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, হামলায় দুজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন।