যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের উদ্বেগের মধ্যেই ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করে দেশে ফিরলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
যে সাঁজোয়া ট্রেন নিয়ে সম্প্রতি পুতিনের দেশে গিয়েছিলেন, সেই ট্রেনেই স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে তিনি ফিরে আসেন বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএর বরাতে বুধবার জানিয়েছে রয়টার্স।
গত মঙ্গল রাশিয়ায় প্রবেশ করেন কিম। পর দিন দেশটির মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ভস্তোচনি কসমোড্রোমে এই দুই নেতার বৈঠক হয়। এতে আলোচনা হয় নানা বিষয় নিয়ে।
কিমের পক্ষ থেকে পুতিনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে উত্তর কোরিয়া সফরের। আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যম। তবে ক্রেমলিন এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি।
দুই নেতার বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে, তা নিয়ে অনেক তথ্য সামনে আসছিল। শেষ পর্যন্ত তাদের আলোচনায় গুরুত্ব পায় সমরাস্ত্র, ইউক্রেন যুদ্ধ ও উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইট কর্মসূচি।
সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়টিও গুরুত্ব পায় তাদের আলোচনায়। ৭০ বছর বয়সী পুতিন ৩৯ বছরের কিমকে বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন এরই মধ্যে।
উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে কিমের সফরকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে কেসিএনএ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ফেরার পর কিমকে ট্রেন স্টেশনে সিনিয়র কর্মকর্তারা অভ্যর্থনা জানান। তাকে গার্ড অফ অনারও দেয়া হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও রাশিয়া দেশটির সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা জোরদারের কথা ভাবছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পশ্চিমা দুনিয়া থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হতে থাকা এ দুই দেশের বন্ধুত্ব গভীর উদ্বেগ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও এ দেশের মিত্রদের। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনকে ধাওয়া করতে রাশিয়াকে অস্ত্র দিচ্ছে কোরিয়া।
তবে কীভাবে এই অস্ত্র দেয়া হচ্ছে বা এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যাচ্ছে না। অবশ্য মস্কো ও পিয়ংইয়ং এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভ্লাদিমির পুতিন ও কিম জং উন এই সাক্ষাতের আগে ২০১৯ সালে রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টক শহরে দেখা করেছিলেন।