বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেরালায় ‘বাংলাদেশি নিপাহ’, বলছে ভারত

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৪:৫৯

কেরালা সরকার বলছে, চারজন আক্রান্তের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। তারা নিপাহ ভাইরাসের যে ধরেন আক্রান্ত হয়েছেন এটি মূলত বাংলাদেশি ধরন। মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় নিপাহ ভাইরাসের এই ধরন।

ভারতের কেরালা রাজ্যে নিপাহ ভাইরাসে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তারা এই ভাইরাসের বাংলাদেশি ধরনে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যটির স্থানীয় সরকারের দাবির বরাতে বুধবার এ তথ্য জানায় হিন্দুস্তান টাইমস।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, কেরালা সরকার বলছে, চারজন আক্রান্তের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। তারা নিপাহ ভাইরাসের যে ধরেন আক্রান্ত হয়েছেন এটি মূলত বাংলাদেশি ধরন। মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় নিপাহ ভাইরাসের এই ধরন।

কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বলেছেন, নিপাহ ভাইরাসের এ ধরনটিতে মানুষ মারা যাচ্ছে বেশি। তবে এতে আক্রান্তের সংখ্যা সে তুলনায় কম।

সম্প্রতি রাজ্যটির একটি জেলায় ‘অজানা কারণে’ এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে যে তথ্য ছড়িয়েছে সে ব্যাপারে তিনি জানান, ওই ব্যক্তিরও মৃত্যু হয়েছে নিপাহ ভাইরাসেই।

এরই মধ্যে নিপাহ ভাইরাসের কারণে রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি হয়েছে। নেয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা। ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কেরালায় চারবার নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ভাষ্য, শূকর কিংবা বাদুড়ের মতো প্রাণীদের কাছ থেকে মানবদেহে প্রবেশ করে নিপাহ ভাইরাস। দুই প্রাণী ছাড়াও দূষিত খাবার ও সংক্রমিত ব্যক্তির মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে।

সংক্রমিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে দৃশ্যমান লক্ষণ দেখা যায় না। কারও কারও ক্ষেত্রে তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। সংক্রমণ মারাত্মক হলে মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে।

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য কোনো ওষুধ বা টিকা না থাকায় রোগীদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৯৯ সালে প্রথম ছড়ায় এই ভাইরাস।

এ বিভাগের আরো খবর