ইরানে বিমান হামলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রোববার আমেরিকান নাগরিকরা শহরগুলোতে ইরানে ট্রাম্প প্রশাসনের বিমান হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউইয়র্ক, রিচমন্ড, বোস্টন, শিকাগো, ওয়াশিংটন এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে এসব যুদ্ধবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালীন বিক্ষোভকারীদের ইরানের পতাকা হাতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তারা পোস্টার প্রদর্শন করেন। এর আগে রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান দিয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণ চালায়।
হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, মার্কিন বিমানবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ‘সফল আক্রমণ’ চালিয়েছে।
এরপর এই হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের ‘গুরুতর ও নজিরবিহীন লঙ্ঘন’ বলে বর্ণনা করে। পাশাপাশি এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পূর্ণ অধিকার রয়েছে বলে জানায়। এর আগে গত শনিবার রাতে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বি-২ বোমারু বিমান। হামলার পর ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা- ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানে আমাদের অত্যন্ত সফল হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।
এসব লক্ষ্যবস্তু ছিল অত্যন্ত নিরাপদ ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তাই সেগুলোর ওপর হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেও তিনি জানান ।
এদিকে ইরান-ইসরাইল চলমান যুদ্ধের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে তেহরান। সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইব্রাহিম জোলফাগারি বলেন, ‘এই শত্রুতাপূর্ণ হামলা ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তুর পরিধি আরো বিস্তৃত করবে এবং এই অঞ্চলে যুদ্ধের প্রসারের পথকে আরো প্রশস্ত করবে’।
তিনি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, ইসলামের যোদ্ধারা লক্ষ্যবস্তুতে শক্তিশালী (সামরিক) অভিযানের মাধ্যমে আপনাদের ওপর গুরুতর ও অপ্রত্যাশিত পরিণতি ডেকে আনবে।